অনলাইন

মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশনে অংশ নেয় ১৯ সন্ত্রাসী

রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে

২৩ অক্টোবর ২০২১, শনিবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন তৎপরতা বন্ধ ও নেতা হিসেবে মুহিবুল্লাহ’র উত্থান ঠেকাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের শীর্ষ নেতার নির্দেশে হত্যা মিশনে অংশ নেন ১৯ সন্ত্রাসী। তাদের মাঝে ৫ জন ছিল অস্ত্রধারী। কয়েক মিনিটেই কিলিং মিশন শেষ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ তরে সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুরে মুহিবুল্লাহর হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক।

শনিবার ভোরে মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আজিজুল হককে লাম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের লোহার ব্রীজ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে এপিবিএন-১৪ এর সদস্যরা।
আজিজুল হকের স্বীকারোক্তিতে সে ছাড়াও হত্যায় সহযোগীতা করা কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ ওরফে মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাস ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে মরকাজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ১৯ জনকে মিশনে অংশ নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে ৫ জনকে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
জিঙ্গাসাবাদে পুলিশকে আজিজুল হক জানিয়েছে, দিন দিন মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে পরিচিত হচ্ছিলেন। তার উত্থান ও প্রত্যাবাসন ঠেকাতে যেকোন মূল্যে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ি ২৯শে সেপ্টেম্বর এশার নামজের পর বাসায় চলে যাওয়া মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে ডাকা হয়। প্রত্যাবাসন বিষয়ে কয়েকজন কথা বলতে ডাকছে বলে বাসা থেকে বের করে আনে আরসা সদস্য মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দিয়ে সে অফিস থেকে চলে যায়।

নাইমুল হক আরও জানান, সশস্ত্র টিম অফিসে ঢুকে একজন মুহিবুল্লাহকে বলে ‘উঠ’ তোর সাথে কথা আছে। বসা থেকে উঠতেই প্রথমজন একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।

হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং যেকোন সময় তারা গ্রেপ্তার হতে পারে বলে জানান এপিবিএনের এ কর্মকর্তা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status