শেষের পাতা
নিবন্ধন করে অপেক্ষায় দেড় কোটি মানুষ
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
২৩ অক্টোবর ২০২১, শনিবার, ৮:২২ অপরাহ্ন
করোনার টিকা পেতে মানুষের প্রতিদিন আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে টিকা পেতে নিবন্ধিতদের সংখ্যা। কিন্তু সেই তুলনায় টিকার মজুত না থাকায় এসএমএস আসতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে টিকাপ্রত্যাশীকে। অনলাইনে নিবন্ধনকারীদের দেড় কোটি লোক এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন পাননি। টাকা দিলে আগে আগে এসএমএস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে অহরহ। সরকার আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৮ কোটি মানুষকে করোনার দুই ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এতে ৫০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে বলে সরকার মনে করছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন সবমিলে ৫ থেকে ৬ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হলেও দৈনিক টিকা দেয়ার পরিমাণও বাড়ানোর চিন্তা চলছে।
এখন পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যার ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার)। বর্তমানে নিবন্ধনকারীদেরই সব মিলিয়ে টিকা প্রয়োজন প্রায় ৫ কোটি ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ১৬২ জন। অন্যদিকে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত মোট দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে বিভিন্ন টিকা দেয়া হয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৬ ডোজ। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ডোজ টিকার দরকার ১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৮ জনের। আর নিবন্ধনকারীদের মধ্যে এক ডোজও টিকা পাননি এমন সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ জন। অর্থাৎ এদের প্রত্যেকের ২ ডোজ করে ৩ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ২০০ ডোজ টিকা লাগবে। বর্তমানে নিবন্ধনকারীদেরই সবমিলিয়ে টিকা দরকার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮৮ ডোজ। কিন্তু টিকা হাতে মজুত আছে ২ কোটি ২ লাখ ডোজের কিছু বেশি। হিসাব করে দেখা যায়, প্রায় ৩ কোটি ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে এখন। ২১শে অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার ২৬২ জন।
এদিকে, গত ১০ই অক্টোবর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৮ কোটি মানুষকে করোনার দুই ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে। এতে ৫০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে আরও চার কোটি ডাবল ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হবো। মোট ১২ কোটি লোককে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে, এতে ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। তিনি জানান, অক্টোবরে তিন কোটি, নভেম্বরে পৌনে চার কোটি, ডিসেম্বরে পাঁচ কোটি ও জানুয়ারিতে পৌনে চার কোটি ডোজ টিকা আসবে। দেশে একদিনে ৮০ লাখের বেশি টিকা দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় এর থেকেও বড় ক্যাম্পেইনের চিন্তা রয়েছে। প্রতি মাসে কর্মসূচি নেয়ার কথা ভাবছি। দৈনিক টিকা দেয়ার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এতে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ লাখ টিকা দেয়ার কথা বলছি। ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ২২ লাখ টিকা পেয়েছি। তিনি বলেন, নিবন্ধন আরও বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার টিকাদান উদ্বোধন হয় চলতি বছরের ২৭শে জানুয়ারি আর গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। আর গ্রামের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয় ৭ই আগস্ট।
এখন পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যার ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার)। বর্তমানে নিবন্ধনকারীদেরই সব মিলিয়ে টিকা প্রয়োজন প্রায় ৫ কোটি ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ১৬২ জন। অন্যদিকে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত মোট দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে বিভিন্ন টিকা দেয়া হয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৬ ডোজ। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ডোজ টিকার দরকার ১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৮ জনের। আর নিবন্ধনকারীদের মধ্যে এক ডোজও টিকা পাননি এমন সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ জন। অর্থাৎ এদের প্রত্যেকের ২ ডোজ করে ৩ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার ২০০ ডোজ টিকা লাগবে। বর্তমানে নিবন্ধনকারীদেরই সবমিলিয়ে টিকা দরকার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮৮ ডোজ। কিন্তু টিকা হাতে মজুত আছে ২ কোটি ২ লাখ ডোজের কিছু বেশি। হিসাব করে দেখা যায়, প্রায় ৩ কোটি ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে এখন। ২১শে অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার ২৬২ জন।
এদিকে, গত ১০ই অক্টোবর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৮ কোটি মানুষকে করোনার দুই ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে। এতে ৫০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে আরও চার কোটি ডাবল ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হবো। মোট ১২ কোটি লোককে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে, এতে ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। তিনি জানান, অক্টোবরে তিন কোটি, নভেম্বরে পৌনে চার কোটি, ডিসেম্বরে পাঁচ কোটি ও জানুয়ারিতে পৌনে চার কোটি ডোজ টিকা আসবে। দেশে একদিনে ৮০ লাখের বেশি টিকা দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় এর থেকেও বড় ক্যাম্পেইনের চিন্তা রয়েছে। প্রতি মাসে কর্মসূচি নেয়ার কথা ভাবছি। দৈনিক টিকা দেয়ার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এতে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ লাখ টিকা দেয়ার কথা বলছি। ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ২২ লাখ টিকা পেয়েছি। তিনি বলেন, নিবন্ধন আরও বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার টিকাদান উদ্বোধন হয় চলতি বছরের ২৭শে জানুয়ারি আর গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। আর গ্রামের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয় ৭ই আগস্ট।