খেলা
জিতেও কেন ক্ষিপ্ত রিয়াদ!
স্পোর্টস রিপোর্টার, মাসকাট (ওমান) থেকে
২২ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। সেই ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমদুল্লাহ রিয়াদের টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং টাইগারভক্তদের কাছে ছিল দৃষ্টিকটু। শুধু ক্রিকেট সমর্থকরাই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও দলের ভেতরের কোন্দলের কথা ফাঁস করেন। বিসিবির পরিচালকরাও করেন কঠিন সমালোচনা। তাতেই পরপর দুই জয়ে সব সমালোচনার জবাব দেন মাহমদুল্লাহ রিয়াদ। বাছাই পর্বে শঙ্কা উড়িয়ে নিশ্চিত করেন বিশ্বকাপের সুপার-টুয়েলভের টিকিট। তবে নানা আলোচনা-সমালোচনায় ভীষণ ক্ষিপ্ত-বিরক্ত টাইগার অধিনায়ক।
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ যখন প্রবেশ করেন তখন তার মুখে রাজ্যের অন্ধকার। দারুণ জয়ের পর কেন তার মুখ ভার? এ প্রশ্নে সব রাগ অভিমান উগড়ে দিলেন রিয়াদ। বললেন, ‘শক্ত (মুখ) হওয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক। বিগত কয়েকদিনে আমরা মানুষ আমরাও ভুল করেছি। এ কারণে একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের দেশ, আমরা সবাই একসঙ্গে। আমি সবসময় বলি, যখন খেলি পুরো দেশ একসঙ্গে খেলি। এবং এ নিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি অনুভূতি কারও নেই। সমালোচনা অবশ্যই হবে, খারাপ খেলেছি। কিন্তু একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের সবারই খারাপ লেগেছে।’
তবে কার কথাতে মন খারাপ তার! কারণ, সমালোচনা শুধু বিসিবি কর্তা বা সংবাদমাধ্যম করেনি। দেশের ক্রিকেটভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাদের এমন বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রিয়াদ বলেন, ‘আসলে এককভাবে কারো কথাতে নয়। সবার কথাতেই আমাদের প্রতিক্রিয়া হয়।’ অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে মাহমদুল্লাহ মনে করেন অনিশ্চয়তার খেলা। তাই উত্থান পতন থাকাটা সাধারণ বিষয় বলে জানান রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাটে উত্থানপতন থাকবেই, আপনি সবসময় পারফেক্ট গেম খেলতে পারবেন না। কখনও খারাপ দিন যাবে কখনও ভালো দিন যাবে। দলের মধ্যে যদি ঐ স্থিরতা থাকে তাহলে কাটিয়ে উঠতে পারবো। এটা নিয়ে আমরা সতর্ক এবং দল হিসেবে এখন স্যাটেলড।’
শেষ পর্যন্ত কঠিন সমীকরণের মুখে পড়েও বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শক্তভাবেই উতরে গেছে বাংলাদেশ দল। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘কিছুটা স্বস্তি তো অবশ্যই আছে। দল ভালো করছে। অবশ্যই আজকে ভালো লাগছে। গ্রুপ রানার-আপ হলে কোন কোন দল আছে এগুলো খুব একটা চিন্তা করছি না। পাওয়ার হিটার কে আছে না আছে এগুলো পরে দেখা যাবে। আজকে ভালো খেলেছি দেখে মনে হচ্ছে (ভালো প্রস্তুতি হয়েছে)। সবার কাছে এরকম মনে হবে আজকে। যদি এক ম্যাচে খারাপ হয় খুব বেশি করে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি দল হিসেবে যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। সবার কমিটমেন্ট আজ শতভাগেরও বেশি ছিল, এটা সবসময়ই থাকে। ভালো কিছু করার জন্য দলের সবাই উদগ্রীব ছিল।’
গতকাল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছে পাপুয়া নিউগিনিকে। এ জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলেও সেখানে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বলার অপেক্ষা রাখে না এখনও পথের অনেক বাকি। যেখানে তাদের পারফরম্যান্সে ওপর নির্ভর করবে ভক্ত-সমর্থকদের রাগ-ক্ষোভ আর বিসিবি কর্তাদের আবেগ কোন দিকে মোড় নেয়।
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ যখন প্রবেশ করেন তখন তার মুখে রাজ্যের অন্ধকার। দারুণ জয়ের পর কেন তার মুখ ভার? এ প্রশ্নে সব রাগ অভিমান উগড়ে দিলেন রিয়াদ। বললেন, ‘শক্ত (মুখ) হওয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক। বিগত কয়েকদিনে আমরা মানুষ আমরাও ভুল করেছি। এ কারণে একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের দেশ, আমরা সবাই একসঙ্গে। আমি সবসময় বলি, যখন খেলি পুরো দেশ একসঙ্গে খেলি। এবং এ নিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি অনুভূতি কারও নেই। সমালোচনা অবশ্যই হবে, খারাপ খেলেছি। কিন্তু একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক না। এটা আমাদের সবারই খারাপ লেগেছে।’
তবে কার কথাতে মন খারাপ তার! কারণ, সমালোচনা শুধু বিসিবি কর্তা বা সংবাদমাধ্যম করেনি। দেশের ক্রিকেটভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাদের এমন বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রিয়াদ বলেন, ‘আসলে এককভাবে কারো কথাতে নয়। সবার কথাতেই আমাদের প্রতিক্রিয়া হয়।’ অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে মাহমদুল্লাহ মনে করেন অনিশ্চয়তার খেলা। তাই উত্থান পতন থাকাটা সাধারণ বিষয় বলে জানান রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাটে উত্থানপতন থাকবেই, আপনি সবসময় পারফেক্ট গেম খেলতে পারবেন না। কখনও খারাপ দিন যাবে কখনও ভালো দিন যাবে। দলের মধ্যে যদি ঐ স্থিরতা থাকে তাহলে কাটিয়ে উঠতে পারবো। এটা নিয়ে আমরা সতর্ক এবং দল হিসেবে এখন স্যাটেলড।’
শেষ পর্যন্ত কঠিন সমীকরণের মুখে পড়েও বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শক্তভাবেই উতরে গেছে বাংলাদেশ দল। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘কিছুটা স্বস্তি তো অবশ্যই আছে। দল ভালো করছে। অবশ্যই আজকে ভালো লাগছে। গ্রুপ রানার-আপ হলে কোন কোন দল আছে এগুলো খুব একটা চিন্তা করছি না। পাওয়ার হিটার কে আছে না আছে এগুলো পরে দেখা যাবে। আজকে ভালো খেলেছি দেখে মনে হচ্ছে (ভালো প্রস্তুতি হয়েছে)। সবার কাছে এরকম মনে হবে আজকে। যদি এক ম্যাচে খারাপ হয় খুব বেশি করে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি দল হিসেবে যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। সবার কমিটমেন্ট আজ শতভাগেরও বেশি ছিল, এটা সবসময়ই থাকে। ভালো কিছু করার জন্য দলের সবাই উদগ্রীব ছিল।’
গতকাল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছে পাপুয়া নিউগিনিকে। এ জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলেও সেখানে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বলার অপেক্ষা রাখে না এখনও পথের অনেক বাকি। যেখানে তাদের পারফরম্যান্সে ওপর নির্ভর করবে ভক্ত-সমর্থকদের রাগ-ক্ষোভ আর বিসিবি কর্তাদের আবেগ কোন দিকে মোড় নেয়।