দেশ বিদেশ

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

২২ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, ৯:১৪ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। মহামারির কারণে উন্নয়নের গতি কিছুটা কমে গেলেও দেশ থেমে থাকেনি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, অনেকের সন্দেহ থাকতে পারে উন্নয়নশীল দেশ হলে বোধ হয় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। আসলে যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো, তারচেয়ে বেশি সুবিধা আমরা পাবো। আমাদের বাণিজ্য বাড়বে, রপ্তানি বাড়বে, রপ্তানি সুবিধা পাবো।
বাণিজ্যমেলা, রপ্তানিকারকদের সম্মেলন, ক্রেতা-বিক্রেতা মেলা এবং অন্যান্য বাণিজ্য বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড আয়োজনের মাধ্যমে পূর্বাচলে নবনির্মিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর এখন থেকে এখানেই স্থায়ী প্ল্যাটফরমে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য। পাট ও পাটজাত পণ্যও আমরা রপ্তানি করতে পারি। আমাদের দেশে বিনিয়োগ হবে, তেমনি আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব পণ্য প্রদর্শনীসহ সব আয়োজন এখানে করে এই এক্সিবিশন সেন্টার সচল রাখবেন এবং এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করবেন বলে আশা করি। করোনা মহামারির কারণে বাণিজ্যমেলার এই নতুন স্পটটা দেখে আসতে পারিনি। তবে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে, সেটা বাস্তবায়ন করেছি বলেই আমরা আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই এক্সিবিশন সেন্টার উদ্বোধন করছি।
সূত্রমতে, সরকার ২০১৫ সালে রাজউকের পূর্বাচলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর অনুকূলে প্রথমে ২০ একর এবং পরে আরও ৬ দশমিক ১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। সেখানে চীন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এই সুপরিসর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেন্টারটি নির্মাণে জমির মূল্যসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৮১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার ব্যয় করেছে ৫২৬ কোটি টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status