খেলা

এমন ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার, মাসকাট (ওমান) থেকে

২২ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, ৮:৫৪ অপরাহ্ন

পরিসংখ্যান বা হিসাব-নিকাশ এড়িয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সরাসরি পরের পর্বে যেতে পিএনজি’র সঙ্গে ৩ রানের ব্যবধানে জিতলেই চলবে টাইগারদের। সে লক্ষ্যে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৮১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে স্কোর বোর্ডে সম্মানজনক পুঁজি দাঁড় করালেও দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং দৈন্যতা কাটছে না কিছুতেই। রান খরার বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারছেন না মুশফিকুর রহীম, নুরুল নাসান সোহানরা। ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট নাঈম শেখ, লিটন দাসদের ব্যাটে। ওপেনিং জুটি নিয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা দীর্ঘায়িত হচ্ছে আরও। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ব্যতিক্রম শুধু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর সাকিব আল হাসান। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের পর এদিনও চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন সাকিব। সঙ্গে মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ফিফটির কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৮১ রান। মাসকাটের আল-আমেরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এদিনও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে ৬৪ রানের ইনিংস খেলা নাঈম শেখ ফেরেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন আর সাকিব। তাদের ব্যাটে ৭ ম্যাচ পর পাওয়ার- প্লের ৬ ওভারে ৪০ রান করে বাংলাদেশ, স্কোর বোর্ডে উঠে ৪৫ রান। তবে সেই রান আর বেশি বড় হয়নি লিটনের আউটে। ম্যাচে প্রথমবার হাত ঘুরিয়ে আসা পিএনজি’র অধিনায়ক আসাদ ভালার প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৩ বলে ২৯ রানে আউট হন এই ওপেনার। মুশফিক যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, সেটিও বিশ্বকাপের মতো মেগা মঞ্চে। তবে এ যাত্রায়ও ব্যর্থ তিনি। সাইমন আতাইকে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন ৫ রান করে। ওমান ম্যাচেও ব্যর্থ ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও মুশফিক করেছিলেন মাত্র ৬ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি সচল রাখেন সাকিব। ছুটেছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু আগে ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও আক্ষেপ সঙ্গী তার। আসাদ ভালাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চার্লস আমিনির হাতে ধরে পড়েন। ৩ ছয়ে ৩৭ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ব্যাটিংয়ে নেমেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মাহমুদুল্লাহ। মাত্র ২৭ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক।
বাংলাদেশের ইনিংস আরও বড় হতেই পারতো। ১৭.২ ওভারে মাহমুদুল্লাহ আউট হওয়ার পর, সেই ওভারেরই ষষ্ঠ বলে নুরুল হাসান সোহান ফিরে যান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ওমানের সঙ্গে ৩ রান করার পর কাল শূন্য রানে ফিরলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারানোর সমস্যাটা এই ম্যাচেও চোখে আঙ্গুুল দিয়ে দেখিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। আফিফ  হোসেনও সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ বলে ২১ করে আউট হয়েছেন মোয়েরার বলে রাভুর হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। তবে এটা বলতেই হবে পাপুয়া নিউগিনির ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। ক্যাচগুলোতে ভুল করেননি তারা। বিশেষ করে সাকিব আর আফিফ যে দু’টি ক্যাচে ফিরেছেন, সেগুলো ছিল দারুণ। আগেই বলা হয়েছে সাকিব আমিনির যে ক্যাচে ফিরেছেন, সেটি ছিল এ টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সেরা। সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টিতে শেষদিকে দ্রুত ইনিংস চায় বাংলাদেশ। গতকাল তিনি সেটি উপহার দিয়েছেন। শেষ দিকে তাঁর ৬ বলে ১৯ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় বড় সংগ্রহে। শেষ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ২০ রান। এর ১৯ রানই এসেছে সাইফের ব্যাট থেকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status