অনলাইন
মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিল ইকবাল হোসেন: পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৮:৩৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিল যে ব্যক্তি, তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার আগের দিন রাত ২টা ১০ মিনিটে কুমিল্লার দারোগাবাড়ির মসজিদ থেকে কিছু একটা হাতে নিয়ে বের হয় এক যুবক। এর ঘণ্টাখানেক পর নানুয়াদীঘির পূজামণ্ডপের রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এ সময় তার কাঁধে ছিল হনুমানের হাতে থাকা গদা। ফুটেজ বিশ্লেষণের পর পুলিশ ও পূজামণ্ডপ সংশ্লিষ্টদের ধারণা, রাত ২টার পর থেকে থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে ওই ব্যক্তি।
এদিকে সেই পূজা মণ্ডপটি একটি মাজারের পাশে অবস্থান হওয়ায় মাজার থেকেই কেউ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ বিষয়ে মাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, পূজামণ্ডপে যে ধরণের কোরআন শরীফ দেখা গেছে, সে ধরনের কোনো কোরআন শরীফ মসজিদ বা মাজারে নেই। পাশাপাশি মসজিদ এবং মাজারের সব কিছু সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত। মাজার থেকে এমন ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগ নেই। তারা যদি এ ধরনের কোনো তথ্য পান, তবে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
বুধবার রাতে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শনাক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বয়স ৩০ থেকে ৩৫। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে। কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে।
এর আগে গত সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যেখান থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে মন্দিরে নেয়া হয়, সেই তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ওই ব্যক্তিকে ধরা গেলে তাকে কারা ব্যবহার করছে, তাদের নামণ্ডপরিচয়ও জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার একটি খবর বুধবার (১৩ই অক্টোবর) সকালে ছড়ানোর পর কয়কটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সেই পূজা মণ্ডপটি একটি মাজারের পাশে অবস্থান হওয়ায় মাজার থেকেই কেউ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ বিষয়ে মাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, পূজামণ্ডপে যে ধরণের কোরআন শরীফ দেখা গেছে, সে ধরনের কোনো কোরআন শরীফ মসজিদ বা মাজারে নেই। পাশাপাশি মসজিদ এবং মাজারের সব কিছু সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত। মাজার থেকে এমন ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগ নেই। তারা যদি এ ধরনের কোনো তথ্য পান, তবে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
বুধবার রাতে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শনাক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বয়স ৩০ থেকে ৩৫। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে। কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে।
এর আগে গত সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যেখান থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে মন্দিরে নেয়া হয়, সেই তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ওই ব্যক্তিকে ধরা গেলে তাকে কারা ব্যবহার করছে, তাদের নামণ্ডপরিচয়ও জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার একটি খবর বুধবার (১৩ই অক্টোবর) সকালে ছড়ানোর পর কয়কটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।