বিশ্বজমিন

সংশোধন বিষয়ক কর্মসূচিও আলি হারবিকে পাল্টাতে পারেনি

মানবজমিন ডেস্ক

২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

বৃটিশ এমপি ডেভিড অ্যামেসকে খুনের দায়ে সন্দেহভাজন যুবক আলি হারবি আলি’কে ২০১৪ সালে বৃটেনে সন্ত্রাস বিরোধী ‘প্রিভেন্ট’-এ পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ‘চ্যানেল’ নামে আরেকটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছে। সেখানে তার মামলাটি শেষ হয়ে যাওয়ার আগে সংশোধন বিষয়ক কর্মসূচির অধীনে সে যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছিল। এক্সক্লুসিভ হিসেবে এ তথ্য দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়েছে, সহিংসতায় সমর্থন দেয়ার ঝুঁকি থেকে লোকজনকে রক্ষা করতে গঠন করা হয় ‘প্রিভেন্ট’। ২০১৪ সালে আলি হারবি আলি তখন টিনেজার। তখন তাকে প্রিভেন্টের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে প্রতি বছর যে হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে পাঠানো হয়, তার মধ্যে অল্প পরিমাণকে আরো সাপোর্ট দেয়ার জন্য পাঠানো হয় ‘চ্যানেল’ নামের কর্মসূচিতে। এই চ্যানেল দেখাশোনা করেন উগ্রপন্থা বিরোধী বিশেষজ্ঞ প্যানেল। যেসব মানুষ সন্ত্রাসে ঝুঁকে পড়ার ঝুঁকিতে আছে বলে মনে হয়, তাদেরকে সাহায্য করেন তারা। প্রিভেন্ট এবং চ্যানেল এ দুটি কর্মসূচিই স্বেচ্ছাসেবামূলক। ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
আলি হারবি আলিকে কয়েক মাসের জন্য চ্যানেলের কাছে স্থানান্তর করা হয়। এতে মন্ত্রী, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বিভাগের জন্য প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারে। আলি হারবিকে চ্যানেলের কাছে পাঠানোর পর ৭ বছর কেটে গেছে। তারপর গত শুক্রবার এমপি ডেভিড অ্যামেসকে হত্যার জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাকে নজরদারিতে রাখা হয়নি- এ প্রশ্ন উঠতেই পারে।
আলি হারবি আলি লন্ডনে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যোগ দেয়। কিন্তু সে ইসলামপন্থি উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলে উদ্বেগ দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে তাকে ওইসব স্কিমে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জানেন এমন একজন সূত্র বলেছেন, আলি হারবি যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে এবং তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। প্রিভেন্টের কাছে যেসব মানুষকে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের উদ্বেগের কারণ ছিল আলি হারবি। সে স্বেচ্ছায় এই স্কিমে যাওয়ার বিষয় মেনে নিয়েছিল এবং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। ফলে মনে করা হয়েছিল, সে সন্ত্রাসী সহিংসতার জন্য আর কোনো হুমকি নয়। তাই তার মামলাটি ক্লোজ করে দেয়া হয়েছিল।
তবে কেউ কেউ বলছেন, যারা সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে থাকে এবং তাদেরকে চ্যানেল থেকে সাহায্য করা সত্ত্বেও পুলিশের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তারা সন্ত্রাসের ঝুঁকি হিসেবে আছে, এ বিষয়টি পুলিশের মাথায় রাখা উচিত। সূত্র বলেছে, যদি আমরা অল্প বয়সে কাউকে ক্রিমিনাল বা অপরাধী হওয়া থামাতে পারি, তাহলে তা সমাজ ও তাদের জন্য উত্তম। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রিভেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে ২৬৮৭ জনকে। চ্যানেল প্যানেলে পাঠানো হয়েছে ১৪২৪ জনকে।
ওদিকে সোমালিয়া সরকারের পক্ষে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন আলি হারবির পিতা। সে সময় তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছিলেন কড়া সমালোচক। ফলে এমপি ডেভিড অ্যামেসকে খুনের দায়ে তার ছেলেকে আটক করার তার পুরো পরিবার হতাশায়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status