বাংলারজমিন

বাঁশ বাগানে ঝুপড়ি ঘরে ওদের বসবাস

মেহেরপুর প্রতিনিধি

২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

বেড়ার ঘরে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে অন্যের জমিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক ঘরেই বসবাস করে আসছেন অসহায় সুশান্ত হালদার। মেঘলা রাতে বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার শব্দ শুনে এবং পোকামাকড়ের সাথেই তাদের রাত কাটে। ঘরের দেয়াল নেই। মাটি-বেড়ার ঘরে সাপ, ব্যাঙ আর কেঁচোর সঙ্গে নিত্য যুদ্ধ করতে হয় অসহায় সুশান্ত হালদারের। সুশান্তর এ ঘরটি দেখলেই যেনো চোখে পানি চলে আসে। এমন পরিবেশে কোন মানুষ কি বসবাস করতে পারে? মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিলেও সুশান্তর কপালে জোটেনি সরকারি ঘর। জীবন যুদ্ধের মহানায়ক সুশান্ত হালদারের বসবাস মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামে।
সুশান্তর বাবার বাড়ি মেহেরপুর শহরে হলেও, সেখানেও তার তেমন জমি নেই। এ কারণে প্রায়ই ২০ বছর যাবত শ্বশুর বাড়ি হাড়িয়াদহ গ্রামে তার বসবাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার শ্বশুরেরও কোন জায়গা-জমি নেই। শ্বশুর সুধীর হালদার মারা যাওয়ার পর শাশুড়ি এখন অন্যের জমির উপর বাঁশ বাগানে বসবাস করে আসছেন। তার শাশুড়ি ভিক্ষা করে জীবন-যাপন করে আসছেন। সুশান্ত মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে এলাকায় নদী-নালা, খাল-বিল তেমন নেই। যদিও কয়েকটি ছোট নদী রয়েছে। ওই নদীতে শুকনো মৌসুমে পানি না থাকায় মাছ শিকারও তার তেমন হয় না। ফলে অন্যের কৃষি ক্ষেতে দিন মজুরির কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। পরিবারে রয়েছে ৪ জন সদস্য।
এই বেড়ার ঘরে কোন রকমে বসবাস করা সুশান্ত গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাণের আকুতি মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই।
সুশান্তর স্ত্রী পূর্ণিমা হালদার জানান , লোক মারফত জানতে পেরেছি, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিচ্ছেন। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বহু মানুষ ইতিমধ্যে জমি ও ঘর পেয়েছে, তারা সেখানে বসবাস করছে, আপন ঠিকানা পেয়েছে। অনেকে জমি ও ঘর পেলেও সেখানে বসবাস করে না। ফলে পতিত অবস্থায় আছে। আর আমরা ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি অনেকের কাছে বলেছি। কিন্তু কেউ আমাদের দুঃখ কষ্ট বোঝেনি। আমরা অসহায় গৃহহীন মানুষ, তাই ইউএনও স্যারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। তা না হলে খোলা আকাশের নিচে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।
পূর্ণিমা আরো বলেন, কেউ যদি কয়েকটি ঢেউটিন দিতেন। তাহলে, ভাঙ্গা ঘরের উপর টিন দিয়ে কিছুটা হলেও বৃষ্টির পানিতে থেকে রক্ষা পেতাম।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status