শ্রীনগরে অগ্নিদগ্ধ ভাইয়ের পর মারা গেল বোনও

শ্রীনগরে তিনতলা একটি ভবনের শয়ন কক্ষে ছেলে-মেয়ে সহ মায়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ভাইয়ের পর বোনও মারা গেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মারা যায় শিশু আয়েশা (২)। এর আগে সোমবার রাতে উদ্ধারের পরপরই মারা যায় ভাই অয়ন (১)। এ ঘটনায় শিশু দুটির মা খাদিজা আক্তার মিম (২৫) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামের বাপ্পি মৃধার বাড়ির তৃতীয় তলার শয়ন কক্ষে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা এনিয়ে চলছে গুঞ্জন।
আগুনের ধোঁয়া দেখে শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে মা সহ শিশু সন্তানদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শুরুতে এসি বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও পরে প্রচার করা হয় কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কিন্তু এসি অক্ষত ও আগুন নিচ থেকে না লেগে কক্ষের উপরের অংশে লাগার কারণে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় দরজা না খোলা এবং দরজা ভেঙে উদ্ধার করার ঘটনায় অনেকে ধারণা করছেন বিষয়টি আত্নহত্যার চেষ্টা হতে পারে।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। দু-একদিনের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে।
বাপ্পি মৃধা নিহত শিশু দুটির বাবা। তিনি ঢাকার ইসলামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী। অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার মিম কুকুটিয়া ইউনিয়নের ঝাপুটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল বেপারীর কন্যা। স্থানীয়রা জানায়, তাদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল না। যার কারণে মিম আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. মাহফুজ রিবেন জানান, এখনও বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র জানা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।