বাংলারজমিন
সিলেটে মিলাদুন্নবী (সা.) মোবারক র্যালি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন
মুখে মুখে প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা গজল ও হাতে অঙ্কিত রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সিলেটে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) র্যালি করেছে তালামীযে ইসলামীয়া। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সিলেটের এই র্যালিতে অংশ নিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। এ কারণে নবীর প্রেমের গজলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সিলেটের রাজপথ। সালাম সালাম নবী সালাম সালাম, মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়া সাল্লিম, বালাগাল উলা-বি কামালিহি, শামছুদ্দুহা আস্সালাম-এ রকম অগণিত নাত-এর সুমধুর সুর লহরি নগরীর আকাশ বাতাস মুখরিত করে। সুন্নী ছাত্র কাফেলা আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ ‘মুবারক র্যালি’তে অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন। সকাল ১১টা থেকে জোহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও অতিথিবৃন্দ। বাদ জোহর শুরু হয় র্যালি। র্যালি-পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তার সর্বজনীন শান্তির বার্তা দুনিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার এক ক্রান্তিলগ্নে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন। তখন মানুষে মানুষে ছিল হানাহানি। চারদিকে ছিল অসত্য আর অন্যায়ের জয়জয়কার। দুঃশাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত ছিল মানব সমাজ। বক্তারা বলেন- বর্তমান সময়ে কিছু কুচক্রীমহল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ইসলাম কখনো অশান্তি সৃষ্টি ও সংঘাতকে সমর্থন করে না। র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ ও সদস্য সচিব এস এম মনোয়ার হোসেনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালি-পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)-এর সুযোগ্য সাহেবজাদা হযরত আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দুলাল আহমদ।