খেলা
সাকিবের প্রতি অভিমান পাকিস্তানি ভক্ত আমজাদের
ইশতিয়াক পারভেজ, মাসকাট (ওমান) থেকে
২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৮:৫৯ অপরাহ্ন
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার কোনভাবেই মানতে পারছেন না টাইগার ক্রিকেটের ভক্তরা। মাসকাট শহরজুড়েই চলে ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। যা ছুঁয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাকিস্তানি ভক্ত মোহাম্মদ আমজাদের হৃদয়েও। হ্যা, মাসকাট শহরের পাকিস্তানি রেস্তোরাঁ সাবাহ, সেখানে পাওয়া যায় বাংলা খাবারও। বিশ্বকাপ কভার করতে এসে দেশি খাবার খুঁজতে গিয়ে সেই রেস্তোরাঁর সন্ধান। সেই রেস্তোরাঁর বাংলাদেশি কর্মী পরিচয় করিয়ে দেন প্রধান বাবুর্চি আমজাদের সঙ্গে। সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে যেন মনের দুঃখ কষ্টের পসরা খুলে বসেন তিনি। রেস্তোরাঁর রুটি ও কাবাব বানানোর কারিগর আজাদ কাশ্মিরের (পাকিস্তানের অংশ) সন্তান আমজাদের অভিমান বাংলাদেশ দলের শীর্ষ তারকা সাকিব আল হাসানের প্রতি। আমাদের খাওয়া শেষ হতেই যখন চা খাওয়ার পর্ব চলছে আমজাদ এগিয়ে এসে যা বলেন তার বাংলায় অর্থ দাঁড়ায়, ‘এটা কিভাবে হয়ে গেল। আমি ভাবতেই পারছি না বাংলাদেশ হারবে স্কটল্যান্ডের কাছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমি এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশকেই ফেভারেট ধরে নিয়েছি। পাকিস্তান দলের যে অবস্থা তাতে করে ওদের ওপর বিশ্বাস রাখা যায় না। সেখানে ক্রিকেট কম রাজনীতি বেশি। ভারত ও শ্রীলঙ্কা অহংকারী দল। তাই আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকেই ভালোবাসি।’
তার এমন কথকোপকথনে বেশ আগ্রহ হলো জানতে পাকিস্তানের এই নাগরিক ওমানে বসে কিভাবে বাংলাদেশের ভক্ত বনে গেলেন! আসলেই কি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের খবর রাখেন নাকি আমাদের মুগ্ধ করতে তার এমন গল্প! না, সেই ভুল ভাঙতে বেশি দেরি হলো না। আমজাদ অনর্গল বলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলে তার প্রিয় ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজদের নাম, কেমন পারফরম্যান্স কেমন মানুষ। তবে সাকিব আল হাসানের নাম আসতেই বদলে গেল তার মুখের অবয়ব। চোখে মুখে ফুঁটে উঠলো অভিমান। বলেই ফেললেন সাকিবতো ‘মাগরুর হো গেয়া’ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘অহংকারী হয়ে গেছে’। কেন তার সাকিবকে নিয়ে এমন কথা! আমজাদ কথা বাংলা করলে যা হয়- ‘ক্রিকেটার হোক আর অন্য পেশা তার নিজের কাজের জায়গাটিকে সম্মান করতে হয়। আমি যেমন বাবুর্চি আমার রান্নার সব কিছুকে যত্নে রাখি। তেমনি একজন ক্রিকেটারকে তার ব্যাট-বল স্টাম্পকে সম্মান করতে হবে। সাকিব ঢাকায় খেলার সময় হাত দিয়ে স্টাম্প তুলে ফেলেছে। আবার লাথিও দিয়েছে। আমি মনে করি সে ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে। তার পর থেকে ওর প্রতি আমার সব ভালোবাসা কমে গেছে। ওকে মনে হয়ে সে এখন ভীষণ অহংকারী। যদি সেটি না হতো খেলায় হারজিত সমস্যার জন্য স্টাম্পে লাথি মারতে পারতো না। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি ওর এই ভিডিওটা দেখে। সাকিবের ভিডিওটা বার বার দেখেছি।’
অন্যদিকে তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহকে কেন আমজাদের এত পছন্দ তাও জানালেন তিনি। আমজাদ বলেন, ‘দেখো মুশফিক খুব লম্বা না, কিন্তু সে পরিশ্রম দিয়ে কত ভালো ব্যাট করে আবার কিপিংও করে। আর মাহমুদুল্লাহ, সেতো অসাধারণ! খেলার প্রতি তার এত মনোযোগ যে ভাবা যায় না। আমি দেখেছি ও যখন নেতৃত্ব দেয় সেটা নিয়ে ডুবে থাকে। ওর মধ্যে কোনো অহংকার নেই। আর তামিম ইকবাল আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয় একজন ক্রিকেটার। সাকিব যখন পিসিএলে (পাকিস্তান সুপার লীগ) খেলতে না করে দিয়েছে তামিম এসেছে খেলে গেছে। ও যেভাবে হিট করে যেভাবে ব্যাট চালায় দারুণ স্টাইল। আর মাশরাফিকে আমি অনেক বেশি মিস করি। ও যতটা না বড় ক্রিকেটার তার চেয়েও ভালো মানুষ। আসলে এটাই হওয়া দরকার।’ শুধু সাকিব, তামিমদের মতো তারকাই নয় আমজাদ খবর রাখেন বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরও। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মোস্তাফিজতো দারুণ। ওকে আমার ভালো লাগে। দেখ নতুন যারা আসছে তাসকিন মনে হয় ওর নাম সেও দারুণ। সত্যি কথা বলতে কি তোমাদের তরুণ দলটা হবে আরো শক্তিশালী।
আমজাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ বাছাই পর্ব উতরে গেলে খেলতে পারে বিশ্বকাপের ফাইনালও। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ওমান বাংলাদেশের সঙ্গে পারবে না। আর পাপুয়া (পাপুয়া নিউগিনি) তো আরো না। আমার মন বলছে ওরা যদি দুইটাই যেতে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে।’
তার এমন কথকোপকথনে বেশ আগ্রহ হলো জানতে পাকিস্তানের এই নাগরিক ওমানে বসে কিভাবে বাংলাদেশের ভক্ত বনে গেলেন! আসলেই কি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের খবর রাখেন নাকি আমাদের মুগ্ধ করতে তার এমন গল্প! না, সেই ভুল ভাঙতে বেশি দেরি হলো না। আমজাদ অনর্গল বলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলে তার প্রিয় ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজদের নাম, কেমন পারফরম্যান্স কেমন মানুষ। তবে সাকিব আল হাসানের নাম আসতেই বদলে গেল তার মুখের অবয়ব। চোখে মুখে ফুঁটে উঠলো অভিমান। বলেই ফেললেন সাকিবতো ‘মাগরুর হো গেয়া’ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘অহংকারী হয়ে গেছে’। কেন তার সাকিবকে নিয়ে এমন কথা! আমজাদ কথা বাংলা করলে যা হয়- ‘ক্রিকেটার হোক আর অন্য পেশা তার নিজের কাজের জায়গাটিকে সম্মান করতে হয়। আমি যেমন বাবুর্চি আমার রান্নার সব কিছুকে যত্নে রাখি। তেমনি একজন ক্রিকেটারকে তার ব্যাট-বল স্টাম্পকে সম্মান করতে হবে। সাকিব ঢাকায় খেলার সময় হাত দিয়ে স্টাম্প তুলে ফেলেছে। আবার লাথিও দিয়েছে। আমি মনে করি সে ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে। তার পর থেকে ওর প্রতি আমার সব ভালোবাসা কমে গেছে। ওকে মনে হয়ে সে এখন ভীষণ অহংকারী। যদি সেটি না হতো খেলায় হারজিত সমস্যার জন্য স্টাম্পে লাথি মারতে পারতো না। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি ওর এই ভিডিওটা দেখে। সাকিবের ভিডিওটা বার বার দেখেছি।’
অন্যদিকে তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহকে কেন আমজাদের এত পছন্দ তাও জানালেন তিনি। আমজাদ বলেন, ‘দেখো মুশফিক খুব লম্বা না, কিন্তু সে পরিশ্রম দিয়ে কত ভালো ব্যাট করে আবার কিপিংও করে। আর মাহমুদুল্লাহ, সেতো অসাধারণ! খেলার প্রতি তার এত মনোযোগ যে ভাবা যায় না। আমি দেখেছি ও যখন নেতৃত্ব দেয় সেটা নিয়ে ডুবে থাকে। ওর মধ্যে কোনো অহংকার নেই। আর তামিম ইকবাল আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয় একজন ক্রিকেটার। সাকিব যখন পিসিএলে (পাকিস্তান সুপার লীগ) খেলতে না করে দিয়েছে তামিম এসেছে খেলে গেছে। ও যেভাবে হিট করে যেভাবে ব্যাট চালায় দারুণ স্টাইল। আর মাশরাফিকে আমি অনেক বেশি মিস করি। ও যতটা না বড় ক্রিকেটার তার চেয়েও ভালো মানুষ। আসলে এটাই হওয়া দরকার।’ শুধু সাকিব, তামিমদের মতো তারকাই নয় আমজাদ খবর রাখেন বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরও। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মোস্তাফিজতো দারুণ। ওকে আমার ভালো লাগে। দেখ নতুন যারা আসছে তাসকিন মনে হয় ওর নাম সেও দারুণ। সত্যি কথা বলতে কি তোমাদের তরুণ দলটা হবে আরো শক্তিশালী।
আমজাদের বিশ্বাস বাংলাদেশ বাছাই পর্ব উতরে গেলে খেলতে পারে বিশ্বকাপের ফাইনালও। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ওমান বাংলাদেশের সঙ্গে পারবে না। আর পাপুয়া (পাপুয়া নিউগিনি) তো আরো না। আমার মন বলছে ওরা যদি দুইটাই যেতে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে।’