অনলাইন
সিলেটের মেয়র আরিফুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন
খালেদ মাসুদ রনি, লন্ডন থেকে
১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ২:৩২ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মেয়র আরিফুল হকের বিরুদ্ধে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় হোয়াইটচ্যাপলের মাইদা গ্রীল রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী আনিসুল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের সিলেট নগরীর বাসিন্দা। সোবহানিঘাট এলাকায় আমার পিতা আরকান আলী ১৯৮২ সালে গুল মোহাম্মদ ও আব্দুর রহিম নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ শতক জায়গা ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকে জায়গাটি আমরা ভোগদখল করে আসছি। পরে মালিকানার কাগজপত্র দিয়ে আমরা সিটি করর্পোরেশনের অনুমতিক্রমে ক্রয়কৃত জমিতে দোকান নির্মাণ করি। স্থাপনার কাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়। আমাদের মালিক মেনেই ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সিলেট সিটি করর্পোরেশন হোল্ডিং বিবরণী (হোল্ডিং নং২৩১০/২) প্রেরণ করার জন্য নেটিশ প্রদান করে। নোটিশে মেয়র আরিফুল হকের স্বাক্ষর ছিলো। নোটিশ পাওয়ার পর আমর পরিবারে পক্ষ থেকে যথা নিয়মে ট্যাক্স প্রদান করি।
আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা প্রবাসে থাকায় জমির বিষয়ে তেমন খোঁজ খবর রাখা সম্ভব হয়নি। যার ফলে জমির নামজারি না হওয়ায় ২০০২ সালে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট জজ কোর্টে একটি মামলা করি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এবং জায়গা আমাদের দখলে থাকার পর নোটিশ ছাড়াই গত ১৫ই আগস্ট মেয়র আরিফুল হকের নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে জোরপূর্বক দখল করা হয়। শুধু দখল নয়, ঘর-বাড়িসহ সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। মামলা চলমান থাকার পরও তিনি বলেছেন, আদালতের রায়ে জমিটি দখল নিয়েছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, আদালতে বিচারাধীন তাই কাগজ দেয়া যাবে না। পরে আমরা তথ্য অধিকার আইনে কাগজ দাবি করলেও তা দিতে অস্বীকার করেন। আদালতে বিচারাধীন থাকায় কাগজ দিতে পারছেন না তাহলে জায়গা দখল কিভাবে করলেন মেয়র? কাগজ যাচাই না করে মেয়র যা করেছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। সিটি করর্পোরেশনের কাজ হলো নাগরিকদের সেবা দেওয়া, কিন্তু তারা এখন দখলদার হয়ে উঠেছে। মেয়রের বক্তব্যে আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ। আমার অসহায় পরিবারের চাওয়া আদালতের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা যেন নাগরিক অধিকার সম্মানটুকু পাই। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক দাবি করা মরহুম আরকান আলীদ ছেলে আনিসুল হক ও মেয়ে আবিদা সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাইদুর রহমান সাঈদ ও সামছুর রহমান মাতাব প্রমুখ।
আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা প্রবাসে থাকায় জমির বিষয়ে তেমন খোঁজ খবর রাখা সম্ভব হয়নি। যার ফলে জমির নামজারি না হওয়ায় ২০০২ সালে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট জজ কোর্টে একটি মামলা করি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এবং জায়গা আমাদের দখলে থাকার পর নোটিশ ছাড়াই গত ১৫ই আগস্ট মেয়র আরিফুল হকের নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে জোরপূর্বক দখল করা হয়। শুধু দখল নয়, ঘর-বাড়িসহ সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। মামলা চলমান থাকার পরও তিনি বলেছেন, আদালতের রায়ে জমিটি দখল নিয়েছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, আদালতে বিচারাধীন তাই কাগজ দেয়া যাবে না। পরে আমরা তথ্য অধিকার আইনে কাগজ দাবি করলেও তা দিতে অস্বীকার করেন। আদালতে বিচারাধীন থাকায় কাগজ দিতে পারছেন না তাহলে জায়গা দখল কিভাবে করলেন মেয়র? কাগজ যাচাই না করে মেয়র যা করেছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। সিটি করর্পোরেশনের কাজ হলো নাগরিকদের সেবা দেওয়া, কিন্তু তারা এখন দখলদার হয়ে উঠেছে। মেয়রের বক্তব্যে আমরা হতাশ, ক্ষুব্ধ। আমার অসহায় পরিবারের চাওয়া আদালতের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা যেন নাগরিক অধিকার সম্মানটুকু পাই। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক দাবি করা মরহুম আরকান আলীদ ছেলে আনিসুল হক ও মেয়ে আবিদা সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাইদুর রহমান সাঈদ ও সামছুর রহমান মাতাব প্রমুখ।