খেলা
ডেলিভারি ম্যান থেকে বাংলাদেশ বধের নায়ক
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
স্কটল্যান্ডের কাছে হারটা যেনো মরুর কাঁটার মতো বিঁধেছে বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে। যার ছাপ স্পষ্ট ছিল অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিষণœ মনে সংবাদ সম্মেলনে আসা। অথচ শুরুটা ছিল রঙিন। ওমানের আল আমেরাত একাডেমি মাঠে ৫৩ রানে ৬ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওমানের রুক্ষ পরিবেশে বাংলাদেশ শিবিরে তখন শীতল পরশ। পরক্ষণেই চার-ছক্কার ঝড় তুলে যেনো ‘মরুর কাঁটা হয়ে’ এলেন ক্রিস গ্রিভস। ‘অচেনা’ এই স্পিনিং অলরাউন্ডারের ব্যাট এতো ধারালো হয়ে উঠতে পারে তা ছিল ধারণার বাইরে। অথচ ৩১ বছর বয়সী গ্রিভসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত। বলার মতো কিছু ছিল না। করোনা মহামারিতে ক্রিকেট বন্ধ হলে জীবিকার তাগিদে গ্রিভসকে বেছে নিতে হয় ভিন্ন পথ। অ্যামাজনের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেছেন গত বছর। বছর না ঘুরতেই গ্রিভসের জীবনে সাফল্যের রঙ। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলকে এনে দেন লড়াকু পুঁজি। তার মূল কাজ লেগ স্পিনে ফিরিয়েছেন মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানকে। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
গ্রিভস স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথমবার মাঠে নামেন ২০১৯ সালে। এরপর করোনা মহামারিতে স্থবির পৃথিবীতে থেমে যেতে হয় গ্রিভসকে। তার আগে পাওয়া স্বল্প সুযোগে রেখেছিলেন প্রতিভার ছাপ। এর জোরেই জায়গা পান বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে। দুবাইয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে নিজেকে মেলে ধরার পর খেলেন চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যার একটি ছিল আন্তর্জাতিক। এই চার ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি ও নামিবিয়া। চার ম্যাচেই করেন কিপটে বোলিং। শিকার ৬ উইকেট। দারুণ এই পারফরমেন্সেই গ্রিভসের সামনে খুলে যায় বিশ্বমঞ্চে পা রাখার সুযোগ।
জীবন-যুদ্ধের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গ্রিভস বিশ্বমঞ্চে অভিষেকেই পড়েন চ্যালেঞ্জের সামনে। ১০০’র নীচে অলআউটের শঙ্কায় থাকা দলের ‘অক্সিজেন’ হয়ে আবির্ভূত হলেন। ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোড়। ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে করলেন ২৮ বলে ৪৫ রান। রান তাড়ায় নেমে দুই ওপেনারকে শুরুতেই হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। চাপ সামলে মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে এগোতে থাকা বাংলাদেশের রাশ টেনে ধরলেন গ্রিভস। বিশ্বমঞ্চে প্রথম ওভারে সাকিবের মুখোমুখি এই স্কটিশ। প্রথম বলেই সাকিবকে ফিরিয়ে ভাঙলেন জুটি। একপ্রান্তে মুশফিক দারুণ ব্যাট করছিলেন। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের শুরুটাও হলো উইকেটের সাফল্যে। প্যাডেল সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। দারুণ এক গুগলিতে বোল্ড মুশফিক। সাকিব-মুশফিককে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। ৩ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচসেরা।
গ্রিভসের পারফরমেন্স নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগি হয়ে পড়েন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার। তিনি বলেন, ‘গ্রিভসকে নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। সে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় সে অ্যামাজনের পার্সেল বিতরণ করতো। এখন সে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে।’
স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কোয়েটজারের সংশয় ছিল ‘বিশ্বমঞ্চে কেমন করবেন গ্রিভস’? না হলে কী আর এমন একজনকে আক্রমণে আনেন ১৪তম ওভারে। স্কটিশ অধিনায়কের কণ্ঠে মিলেছে তেমনই আভাস। এ জন্য আইসিসির কাছে চাইলেন পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ। কোয়েটজার বলেন, ‘লম্বা সময় সে একটি ম্যাচও খেলেনি। কিন্তু দেখুন সে কি করেছে। এটা প্রমাণিত যে সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটেও মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। এখন শুধু এটা দেখানোর জন্য তাদের প্লাটফর্ম দরকার।’
গ্রিভস স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথমবার মাঠে নামেন ২০১৯ সালে। এরপর করোনা মহামারিতে স্থবির পৃথিবীতে থেমে যেতে হয় গ্রিভসকে। তার আগে পাওয়া স্বল্প সুযোগে রেখেছিলেন প্রতিভার ছাপ। এর জোরেই জায়গা পান বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে। দুবাইয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে নিজেকে মেলে ধরার পর খেলেন চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যার একটি ছিল আন্তর্জাতিক। এই চার ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি ও নামিবিয়া। চার ম্যাচেই করেন কিপটে বোলিং। শিকার ৬ উইকেট। দারুণ এই পারফরমেন্সেই গ্রিভসের সামনে খুলে যায় বিশ্বমঞ্চে পা রাখার সুযোগ।
জীবন-যুদ্ধের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গ্রিভস বিশ্বমঞ্চে অভিষেকেই পড়েন চ্যালেঞ্জের সামনে। ১০০’র নীচে অলআউটের শঙ্কায় থাকা দলের ‘অক্সিজেন’ হয়ে আবির্ভূত হলেন। ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোড়। ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে করলেন ২৮ বলে ৪৫ রান। রান তাড়ায় নেমে দুই ওপেনারকে শুরুতেই হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। চাপ সামলে মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে এগোতে থাকা বাংলাদেশের রাশ টেনে ধরলেন গ্রিভস। বিশ্বমঞ্চে প্রথম ওভারে সাকিবের মুখোমুখি এই স্কটিশ। প্রথম বলেই সাকিবকে ফিরিয়ে ভাঙলেন জুটি। একপ্রান্তে মুশফিক দারুণ ব্যাট করছিলেন। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের শুরুটাও হলো উইকেটের সাফল্যে। প্যাডেল সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। দারুণ এক গুগলিতে বোল্ড মুশফিক। সাকিব-মুশফিককে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। ৩ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে হলেন ম্যাচসেরা।
গ্রিভসের পারফরমেন্স নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগি হয়ে পড়েন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার। তিনি বলেন, ‘গ্রিভসকে নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। সে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় সে অ্যামাজনের পার্সেল বিতরণ করতো। এখন সে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে।’
স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কোয়েটজারের সংশয় ছিল ‘বিশ্বমঞ্চে কেমন করবেন গ্রিভস’? না হলে কী আর এমন একজনকে আক্রমণে আনেন ১৪তম ওভারে। স্কটিশ অধিনায়কের কণ্ঠে মিলেছে তেমনই আভাস। এ জন্য আইসিসির কাছে চাইলেন পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ। কোয়েটজার বলেন, ‘লম্বা সময় সে একটি ম্যাচও খেলেনি। কিন্তু দেখুন সে কি করেছে। এটা প্রমাণিত যে সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটেও মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। এখন শুধু এটা দেখানোর জন্য তাদের প্লাটফর্ম দরকার।’