প্রথম পাতা
ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার, ১০:২৬ অপরাহ্ন
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারী (পিপিপি) ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি আর পিপিপিতে হচ্ছে না। গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপিভিত্তিক নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বদলে সরকারি অর্থায়নে এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম বিদ্যমান ৪ লেন মহাসড়ক আরও প্রশস্তকরণ এবং সড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। এখানে ১০০ কোটি টাকা
খরচ হয়েছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন
, ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্চা যায়নি। যেকোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবি’র হয়। এটি নিয়ে আজ সভায়ও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারা দেশে এটা হচ্ছে। সেজন্য সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। মূল কথা হলো- আগে এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই মূল সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চের সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়।
অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নতকরণ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ই ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণের সুপারিশ করা হয়। সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭শে জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে চীন থেকে করোনার টিকা দিতে জরুরি ভিত্তিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীন ছাড়া এই মুহূর্তে এই বিপুলসংখ্যক সিরিঞ্জ সাপ্লাই দেয়ার মতো কারও ক্যাপাসিটি নেই।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সময় যত সংক্ষিপ্ত করা যায়। একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে অন্যদিকে টিকা চলে আসবে কিন্তু সিরিঞ্জ না থাকলে টিকা দেয়া যাবে না সেজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা দিতে সমপরিমাণ সিরিঞ্জ প্রয়োজন। প্রতি মাসে দুই কোটি মানুষকে টিকা দিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করতে হবে।
এছাড়াও ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ব্যবহারের জন্য প্রতিস্থাপক হিসেবে ৫০টি গাড়ি কিনতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় বৈঠকে। চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৭৪,০৮১ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ২টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব ছিল। তিনি বলেন, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সর্বমোট ১ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫৪ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে।
ভারতের ত্রিপুরা হতে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং বর্ধিত মেয়াদের জন্য ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনাঘাট, জামালদিতে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
খরচ হয়েছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন
, ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্চা যায়নি। যেকোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবি’র হয়। এটি নিয়ে আজ সভায়ও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারা দেশে এটা হচ্ছে। সেজন্য সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। মূল কথা হলো- আগে এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই মূল সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চের সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়।
অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নতকরণ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ই ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণের সুপারিশ করা হয়। সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭শে জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে চীন থেকে করোনার টিকা দিতে জরুরি ভিত্তিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীন ছাড়া এই মুহূর্তে এই বিপুলসংখ্যক সিরিঞ্জ সাপ্লাই দেয়ার মতো কারও ক্যাপাসিটি নেই।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সময় যত সংক্ষিপ্ত করা যায়। একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে অন্যদিকে টিকা চলে আসবে কিন্তু সিরিঞ্জ না থাকলে টিকা দেয়া যাবে না সেজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা দিতে সমপরিমাণ সিরিঞ্জ প্রয়োজন। প্রতি মাসে দুই কোটি মানুষকে টিকা দিতে ৯ কোটি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করতে হবে।
এছাড়াও ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ব্যবহারের জন্য প্রতিস্থাপক হিসেবে ৫০টি গাড়ি কিনতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় বৈঠকে। চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৭৪,০৮১ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ২টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব ছিল। তিনি বলেন, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সর্বমোট ১ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫৪ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে।
ভারতের ত্রিপুরা হতে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং বর্ধিত মেয়াদের জন্য ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনাঘাট, জামালদিতে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।