খেলা
‘শুধু ছক্কা হাঁকানোর দল নয় উইন্ডিজ’
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ অক্টোবর ২০২১, সোমবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী এমন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নেই যেখানে উপস্থিতি নেই না ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া টি-টেন ও দ্যা হান্ড্রেড ক্রিকেটের আসরেও উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের উপস্থিতি। কম দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে বড় শট খেলতে পারা ক্রিকেটারদের কদর সবচেয়ে বেশি। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে সিদ্ধহস্ত। সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাই ক্যারিবিয়ানদের দাপট। কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরেও ‘উইন্ডিজ রাজ’। আগের ছয় আসরের দুটি শিরোপা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল তারা। আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারো নামছে শিরোপায় চোখ রেখে। অন্যতম ফেভারিটও পোলার্ড-গেইলরা। তবে এবার পাওয়ার ক্রিকেট নয় ক্যারিবিয়নরা খেলতে চায় ‘পরিস্থিতির দাবি মেটানো ক্রিকেট’।
পাঁচ বছর আগে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরার মুকুট পরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইডেন গার্ডেনে উইন্ডিজকে শিরোপা এনে দিয়েছিল ‘পাওয়ার ক্রিকেট’। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ক্যারিবীয়দের। ক্রিজে ছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। ইডেন গার্ডেনে ফাইনাল রাঙানোর আগে ব্যাটিং করেন মাত্র ৭ ইনিংস। তার মোট রান ছিল ২৫। সর্বোচ্চ ১৩। বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীরা তখনও ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ভাবতে পারেননি। কারণ একটাই ‘ক্যারিবিয়ানদের বড় শট খেলার ক্ষমতা’। ব্র্যাথওয়েট সেই ক্ষমতা দেখানোর মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন ফাইনালের শেষ ওভার। অপরপ্রান্তে মারলন সামুয়েলস থাকলেও টানা ৪ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মাতিয়েছিলেন ডোয়াইন ব্র্যাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন’ নাচে।
২০১৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন এবারের আসরেও। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলা হলেও এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেবেন কাইরন পোলার্ড। তারও রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় কুড়ি ওভারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন এই অলরাউন্ডার। সেই আসরে খেলা পেসার রবি রামপালকে এবারের বিশ্বকাপ দলে রেখেছে উইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের স্কোয়াডে বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড় সংখ্যা ৮। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার সব পজিশনেই বড় শট খেলতে পারেন এমন ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলও উইন্ডিজ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভিন্ন উইন্ডিজকে দেখা যাবে-এমন আভাস দিয়েছেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। তার দল খেলতে চায় পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে চাই না, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা শুধু ছক্কা হাঁকাতে চায়।
আপনি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে তাকান। টি-টোয়েন্টিতেও ডট বল হচ্ছে। আবার সিঙ্গেল, ডাবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সংস্করণে খেলার ধরণ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে।’ পোলার্ড অবশ্য হুমকি দিয়ে রাখলেন নিজেদের শক্তিমত্তার কথা জানিয়ে। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্র্যাভোর মতো পাওয়ার হিটার রয়েছে দলে। পোলার্ড নিজেও বড় শট খেলতে পারদর্শী। উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলে একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা অনায়াসে বড় শট খেলতে পারেন। কিন্তু তারা পরিস্থিতি বুঝে রয়েসয়ে খেলতেও প্রস্তুত। তবে আমরা আমাদের শক্তিশালী দিক দিয়েই সফল হওয়ার চেষ্টা করবো’।
পাঁচ বছর আগে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরার মুকুট পরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইডেন গার্ডেনে উইন্ডিজকে শিরোপা এনে দিয়েছিল ‘পাওয়ার ক্রিকেট’। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ক্যারিবীয়দের। ক্রিজে ছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। ইডেন গার্ডেনে ফাইনাল রাঙানোর আগে ব্যাটিং করেন মাত্র ৭ ইনিংস। তার মোট রান ছিল ২৫। সর্বোচ্চ ১৩। বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীরা তখনও ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ভাবতে পারেননি। কারণ একটাই ‘ক্যারিবিয়ানদের বড় শট খেলার ক্ষমতা’। ব্র্যাথওয়েট সেই ক্ষমতা দেখানোর মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন ফাইনালের শেষ ওভার। অপরপ্রান্তে মারলন সামুয়েলস থাকলেও টানা ৪ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মাতিয়েছিলেন ডোয়াইন ব্র্যাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন’ নাচে।
২০১৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন এবারের আসরেও। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলা হলেও এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেবেন কাইরন পোলার্ড। তারও রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় কুড়ি ওভারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন এই অলরাউন্ডার। সেই আসরে খেলা পেসার রবি রামপালকে এবারের বিশ্বকাপ দলে রেখেছে উইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের স্কোয়াডে বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড় সংখ্যা ৮। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার সব পজিশনেই বড় শট খেলতে পারেন এমন ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলও উইন্ডিজ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভিন্ন উইন্ডিজকে দেখা যাবে-এমন আভাস দিয়েছেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। তার দল খেলতে চায় পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে চাই না, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা শুধু ছক্কা হাঁকাতে চায়।
আপনি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে তাকান। টি-টোয়েন্টিতেও ডট বল হচ্ছে। আবার সিঙ্গেল, ডাবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সংস্করণে খেলার ধরণ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে।’ পোলার্ড অবশ্য হুমকি দিয়ে রাখলেন নিজেদের শক্তিমত্তার কথা জানিয়ে। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্র্যাভোর মতো পাওয়ার হিটার রয়েছে দলে। পোলার্ড নিজেও বড় শট খেলতে পারদর্শী। উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলে একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা অনায়াসে বড় শট খেলতে পারেন। কিন্তু তারা পরিস্থিতি বুঝে রয়েসয়ে খেলতেও প্রস্তুত। তবে আমরা আমাদের শক্তিশালী দিক দিয়েই সফল হওয়ার চেষ্টা করবো’।