দেশ বিদেশ
২৩শে অক্টোবর সারা দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গণঅবস্থান
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৯:৩৭ অপরাহ্ন
দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূজামণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৩শে অক্টোবর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে গণঅবস্থান ও গণঅনশন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। রানা দাশগুপ্ত বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজার মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। ব্যানার ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। সে প্রতিবাদে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত আমাদের অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামী ২৩শে অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকার শাহবাগে ও চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ প্রশাসনের অনুরোধ মেনে নিলেও আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যেভাবে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মহাঅষ্টমীর দিন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড় এলাকায় অস্থায়ী পূজামণ্ডপ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। চানমনি কালীবাড়ীর বিগ্রহ ও ফটকে অগ্নিসংযোগ ও ১৭টি পূজামণ্ডপের তোরণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একইদিন হাতিয়ার ৭টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি সীতারাম ঠাকুর সেবাশ্রম, গাজীপুরের কাশিমপুরে সুবল দাসের মন্দির ও কাশিমপুর বাজার কালীমন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ই অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে আবারও সামপ্রদায়িক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইসকন মন্দিরের প্রভু মলয় কৃষ্ণ দাসের মাথায় আঘাত করে তাকে নির্মমভাবে খুন করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায়ও তারা বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলা চালায় ও তোরণ ভেঙে ফেলেছে। এগুলো সবই পরিকল্পিত। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে পুরো দেশকে সামপ্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য মৌলবাদীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।