প্রথম পাতা

খাদ্যের অপচয় কমানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৯:৩১ অপরাহ্ন

খাদ্যের অপচয় রোধে সবাইকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, খাদ্যের অপচয় কমাতে হবে, অপচয় যেন না হয়। সারা বিশ্বে একদিকে খাদ্যের অভাব অপর দিকে প্রচুর খাদ্যের অপচয় হয়। অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের দিকে চলে যাচ্ছে। এই অপচয় যেন না হয় বরং যে খাদ্যগুলো অতিরিক্ত থাকে সেগুলো আবার পুনঃব্যবহার করা যায় কীভাবে সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। উদ্বৃত্ত যে খাদ্য থাকবে বা আপনি খেতে বসেও যে খাবারটা বেশি থাকবে সেটাও কীভাবে পুনঃব্যবহার করা, অন্যের চাহিদা পূরণ করা যায় কিনা সেটাকেও গবেষণার মধ্যে রাখা দরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার উন্নয়ন করে যাবে। কিন্তু কৃষি জমি যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষি জমি সংরক্ষণ করেই আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। কেননা, আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে খাবারে বাংলাদেশে আর কোনো অভাব থাকবে না। তবে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রকাশিত ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ অবমুক্ত করেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতার একটি প্রতিকৃতিও উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। কাজেই নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা এবং শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা এবং বাংলাদেশে একটি মানুষকেও যাতে ঠিকানা বিহীন থাকতে না হয় তাই প্রতিটি গৃহহীনের জন্য আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজের ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছি এবং এই করোনাকালীনও আমি আহ্বান জানিয়েছি, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।
তিনি আরও বলেন, নিজেরা খাদ্য উৎপাদন করে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করবো। অর্থ উপার্জন করবো। এটা আমরা পারি, পারবো। উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সার-বীজ কৃষকের হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছি। অথচ এ সার চাইতে গিয়ে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে খালেদা জিয়ার সরকার। বিদ্যুৎ চাওয়ায় নয়জনকে হত্যা করা হয়। আর আজকে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি।
সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের চাহিদা পূরণে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সহায়তা করেছি। প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করেছি, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন।
সরকার কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু চেন ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বৈরী পরিবেশ সহনশীলসহ ৬৫৫টি উন্নত ফলনশীল জাতের ফসল এবং ৫৯১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status