বাংলারজমিন
সিংগাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাই
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার, ৯:০০ অপরাহ্ন
চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ছিনতাই করা নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান। শুক্রবার বিকালে মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান তার প্রস্তাবক ও সমর্থক নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মাজেদ খানের ছেলে ফয়েজুল ইসলাম খানসহ তার লোকজন মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে এই ঘটনায় মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত মামলা করেছেন। মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ খান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। শুক্রবার পৌনে চারটার দিকে প্রস্তাবক ও সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যান। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ খানের ছেলে ফয়েজুল ইসলাম খান, রামকান্তপুরের মো. রফিকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু (৩০), উত্তর পারিলের ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০)সহ আরও ৪/৫ জন তাদের পথ গতিরোধের পর মারপিট করে মনোনয়নপত্র ও ভোটার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে অভিযুক্ত ফয়েজুল ইসলাম থানায় যান প্রভাব বিস্তার করতে। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সিংগাইর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান জানান, ওবায়দুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহরেরও সময় আছে। সে আমাদের দলেরই লোক। এ ব্যাপারে আমরা বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু তাকে মারধরে করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়াটা মোটেও ঠিক হয়নি। সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে মামলায় ফয়েজুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিংগাইর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান জানান, ওবায়দুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহরেরও সময় আছে। সে আমাদের দলেরই লোক। এ ব্যাপারে আমরা বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু তাকে মারধরে করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়াটা মোটেও ঠিক হয়নি। সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে মামলায় ফয়েজুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।