মির্জাগঞ্জে ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে শোকজ

যথাসময়ে উপস্থিত না থাকায় মির্জাগঞ্জের ময়দা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোসা. পরশ মনিকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা মোসা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা লিখিতভাবে এ কারণ দর্শানের নোটিশ প্রদান করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন সেবা নিতে এসে বসে থাকলেও দেখা মেলে না পরশ মনির। ক্লিনিকের দায়িত্বরতদের সকাল ৯টার মধ্যে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু পরশ মনি যেন এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। বেলা ১১টার পর প্রতিদিন তিনি ক্লিনিক আসেন। অবহেলা আর অযত্নের ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুসারে, ময়দা কমিউনিটি ক্লিনিকে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে সিএইচসিপি পরশ মনিকে পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে- বসে রয়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। বেলা ১১টার সময় এসে খুলেন ক্লিনিকের তালা। সেবা নিতে আসা সুমন ও মায়া  বেগম বলেন, ‘সকাল বেলা থেকে বসে আছি ওষুধ নেয়ার জন্য। আমাদের তো আরও কামকাজ আছে। সে প্রতিদিনই এরকম দেরি করে এসে কিছুক্ষণ থেকে চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্লিনিকের কর্মরত কয়েকজন বলেন, আপা প্রতিদিনই দেরি করে আসেন। তার জন্য আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি।’ এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি এর পরিপেক্ষিতে সুষ্ঠু জবাব চেয়ে ওই সিএইচসিপিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ময়দা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোসা. পরশ মনির সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, যোগাযোগ অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমার আসতে দেরি হয়। লিখিতভাবে আমি জবাব দেবো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা মোসা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, সে কেন  দেরি করে আসে এর কারণ জানতে চেয়ে তাকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।