বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজারে ঝরে গেছে ২ হাজার শিক্ষার্থী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা

মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে

১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার, ৬:৫৭ অপরাহ্ন

করোনা সংক্রমণরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এ সময়ে বিয়ে হয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর, কিছু ছাত্র প্রবাসে চলে গেছে। আর প্রাথমিক-মাধ্যমিক পড়ুয়া প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। তবে কিছুদিন গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা বাড়বে বলে আশা শিক্ষকদের।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের কতোভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এ নিয়ে জরিপ চালাচ্ছে একটি বেসরকারি এনজিও। আপাতত: তাদের হিসাব অনুযায়ী এই দুই স্তরের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে করোনার পূর্বেই স্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩ ভাগ। করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে বলেন, বিয়ানীবাজারে বাইরের জেলার যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তারা এখান থেকে চলে গেছে। তবে বাল্যবিয়ের কারণে উপজেলায় ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে। বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ্র তালুকদার বলেন, তার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী আর আসছে না। বিদ্যালয়ে পুরো পাঠদান হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মৌলুদুর রহমান বলেন, সঠিক জরিপ এখনো পাওয়া না গেলেও প্রায় ১০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে অনুমান করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কারণে যারা বিদ্যালয়ে আসছে না, তাদের ফি মওকুফ করা দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সাধ্যমতো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধের পরে আবারো স্কুলে আসতে পেরে ভালো লাগছে। কিন্তু মন খারাপও হচ্ছে। কারণ, আমাদের অনেক বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তাদের পড়ালেখা বন্ধ। তারা খুব ভালো ছাত্রী ছিল। তাদেরকে খুব মিস করি।’ সে বলে, আমার অনেক সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট ১২শ’ শিক্ষার্থী ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্য থেকে ১ হাজার ২৫৭ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে। অন্যদের কারো বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছে। করোনা মহামারিতে শিক্ষাখাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status