বাংলারজমিন
শরণখোলায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল চিকিৎসক শূন্য
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
১৫ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, ৮:৩৯ অপরাহ্ন
চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। চারজন এমবিবিএস চিকিৎসকের তিনজনই পারিবারিক সমস্যা ও অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন। একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছাড়া তিনদিন ধরে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। দুইজন উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক দেখছেন রোগী। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলা থেকে গত বুধবার ধার করে আনা হয়েছে একজন চিকিৎসক। বর্তমানে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা।
এ ছাড়া, জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার। মারামারি, দুর্ঘটনায় আহত ও অন্যান্য মিলিয়ে সেখানে রোগীতে ঠাসা। একা এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি বাবুল দাস বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সবসময়ই চিকিৎসক বৈষম্যের শিকার। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো থাকেই না। এমবিবিএস চিকিৎসকও থাকেন হাতেগোনা দু-চারজন। কোনো মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। বর্তমান একজন চিকিৎসকও না থাকায় পরিস্থিতি আরও চরম পর্যায় পৌঁছেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ রোগীরা। চলমান সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় তিনজন ডাক্তার ছুটিতে রয়েছেন। রোগীর প্রচণ্ড চাপ। এ অবস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ফাঁকে আমি নিজে গিয়েও আউটডোরে রোগী দেখছি। বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যারকে জানানোর পর আপাতত মোরেলগঞ্জ থেকে একজন ডাক্তার পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া, রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গোলাম মোকদারি খান নামে একজন ডাক্তার ডেপুটেশনে এখানে পাঠানোর কথা।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যার বিষয়টি আমি জানি। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক সেখানে পদায়ন করা হয়েছে। যারা ছুটিতে রয়েছেন তাদেরকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। চলমান এই সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া, জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার। মারামারি, দুর্ঘটনায় আহত ও অন্যান্য মিলিয়ে সেখানে রোগীতে ঠাসা। একা এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি বাবুল দাস বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সবসময়ই চিকিৎসক বৈষম্যের শিকার। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো থাকেই না। এমবিবিএস চিকিৎসকও থাকেন হাতেগোনা দু-চারজন। কোনো মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। বর্তমান একজন চিকিৎসকও না থাকায় পরিস্থিতি আরও চরম পর্যায় পৌঁছেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ রোগীরা। চলমান সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় তিনজন ডাক্তার ছুটিতে রয়েছেন। রোগীর প্রচণ্ড চাপ। এ অবস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ফাঁকে আমি নিজে গিয়েও আউটডোরে রোগী দেখছি। বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যারকে জানানোর পর আপাতত মোরেলগঞ্জ থেকে একজন ডাক্তার পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া, রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গোলাম মোকদারি খান নামে একজন ডাক্তার ডেপুটেশনে এখানে পাঠানোর কথা।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যার বিষয়টি আমি জানি। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক সেখানে পদায়ন করা হয়েছে। যারা ছুটিতে রয়েছেন তাদেরকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। চলমান এই সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।