শেষের পাতা
৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাফলংয়ে বালু লুট
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:২১ অপরাহ্ন
জাফলংয়ের বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও পরিবেশ ধ্বংসের মামলা করা হয়েছে। গত ৪ মাসে ওই সিন্ডিকেট জাফলংয়ের পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা বা ইসিএ জোনে নির্বিচারে প্রায় ২০ কোটি টাকার বালু লুট করে পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সিলেটের আমল গ্রহণকারী ১০ নং আদালতে এই মামলা করেছেন জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে; জাফলং মামার দোকানের বাসিন্দা সুমন, বিশ্বনাথের তেঘরী গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম, কান্দুবস্তি গ্রামের ফিরোজ আহমদ, আসামপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলাম, লেঙ্গুরা এলাকার মুজিব ও লামা দুমকা গ্রামের সুভাস দাস। মামলার এজাহারে ইনসান আলী জানিয়েছেন- জাফলং ব্রিজ এলাকার ১৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা বা ইসিএ জোন হিসেবে চিহ্নিত। গত জুন মাস থেকে আসামিরা নয়াবস্তি, কান্দুবস্তি গ্রামের লোকজনের বসতবাড়ি ধ্বংস করে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করছে। এতে করে ইতিমধ্যে ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বাসা বাড়ির দেওয়াল ও কবরস্থান দখল করে তারা বালু লুটপাট করছে। গোয়াইনঘাটের লিজকৃত গোয়াইন ১১৭ বালুমহাল ও পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুরের সারি-১, সারি-২ বালুমহাল ইসিএ জোন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু জৈন্তাপুরের বালুমহালের কাগজ ব্যবহার করে ইসিএ জোনভুক্ত এলাকা থেকে বালু ও পাথরখেকো সুমন, ফয়জুল, ফিরোজ, শামসুল ও মুজিবের সহযোগিতায় অবৈধ বোমা মেশিন ব্যবহার করে ডাউকী ও পিয়াইন নদী থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ আদায় করে আত্মসাৎ করেছে। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন- গত ৯ই সেপ্টেম্বর জাফলংয়ে অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধে আলীম উদ্দিন সিলেটের প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। আর এই অভিযোগ দায়েরের পর আসামিরা জাফলংয়ে সশস্ত্র মহড়া অব্যাহত রেখেছে।