বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে বেলাল বাহিনীর তাণ্ডব, গ্রেপ্তার ৩
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৯:০৭ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের ছফর আলী মাস্টারের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বেলাল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে গতকাল দুপুরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সরজমিন জানা যায়, ছফর আলী মাস্টার বাড়ির জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার মৃত সফি উল্যাহর পুত্র বেলাল হোসেন ও কবির হোসেনদের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা চলমান। সম্প্রতি একটি মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলাল বাহিনীর নেতৃত্বে শতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলামের ঘরসহ অন্তত ৫টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা স্বর্ণালংকার, নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জায়গার দলিলপত্র, গরু, ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় দুধের শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। আহত হয় শিশুসহ ৫ জন। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, এ ঘটনায় কোটি টাকার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়িতে পুরুষ কেউ না থাকায় মহিলারা একাধিকবার বাধা দিয়েও ব্যর্থ হন। পরে প্রাণনাশের ভয়ে তারা বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় ভুক্তভোগীরা একাধিকবার থানায় ফোন করলেও কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ কল দিলে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এস আই শাহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে বেলাল বাহিনীর প্রধান বেলাল হোসেনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা, এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ কেউ ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ বিষয়ে জানাতে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি চিকিৎসার কাজে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানায় তার মেয়ে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার পর পরই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ত্রাসী দলনায়ক বেলাল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের গ্রেপ্তার করা হয় নাই।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, এ ঘটনায় কোটি টাকার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়িতে পুরুষ কেউ না থাকায় মহিলারা একাধিকবার বাধা দিয়েও ব্যর্থ হন। পরে প্রাণনাশের ভয়ে তারা বাড়িঘর থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় ভুক্তভোগীরা একাধিকবার থানায় ফোন করলেও কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ কল দিলে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এস আই শাহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে বেলাল বাহিনীর প্রধান বেলাল হোসেনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা, এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ কেউ ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ বিষয়ে জানাতে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি চিকিৎসার কাজে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানায় তার মেয়ে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার পর পরই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ত্রাসী দলনায়ক বেলাল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের গ্রেপ্তার করা হয় নাই।