বাংলারজমিন
কচুয়ায় আলুর বাজারে ধস বিপাকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৯:০৪ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা ও অন্যান্য কারণে কচুয়ায় আলুর ব্যবসায় লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, কচুয়ার গুলাহার হিমাগারে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৫ হাজার চাহিদা সম্পন্ন দু’টি হিমাগারে ৯৬ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া বাতাপুকুরিয়া মনার্ক কোল্ড স্টোরেজ লি. ২ লাখ ৯৫ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করে। বর্তমানে আলুর অব্যাহত দরপতন ও ক্রেতার অভাবে হিমাগারে বিপুল পরিমাণ আলু পড়ে রয়েছে। আলু রোপণের মৌসুম শুরু হলেও এখনো অধিকাংশ আলু হিমাগারে সংরক্ষিত আছে। ফলে এবারো পুঁজি হারানো ও ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। কৃষক সাদেক আলী মিয়া জানান, গত বছর আলুর বাজার ভালো থাকায় এ বছর হিমাগারে আলু মজুদ করেছি। একদিকে হিমাগারে দ্বিগুণ ভাড়া অন্যদিকে আলুর দাম না থাকায় বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বেশ কয়েকজন আলু ব্যবসায়ী জানান, মাকামে চাহিদা কম থাকায় আলু বিক্রি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে করোনায় বিভিন্ন খাবার রেস্তরাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আলুর চাহিদা দিনদিন কমে যাচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ১৮-২০ টাকা দরে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছি। বর্তমানে ৯-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তাও আবার গ্রাহক নেই। ফলে লাখ লাখ টাকার পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম দেখা দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলু চাষিদের বাঁচাতে আলুর দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। মনার্ক কোল্ড স্টোরেজ লি.-এর ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে হিমাগারে থাকা আলুর ন্যায্য দাম নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে হিমাগারের আওতায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আনুপাতিক হারে ঋণ দেয়া হলেও ঋণের টাকা আদায় নিয়ে হিমসিমে আছি। হিমাগারে ২ লাখ ৯৫ হাজার বস্তার মধ্যে এখনো ২ লাখ বস্তা পড়ে আছে। কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, গত বছর আলুর ফলন ভালো ও দাম ভালো ছিল। চলতি মৌসুমে ৩টি হিমাগারে ২০ হাজার টন আলু সংরক্ষিত করা হয়। আলুর দাম বাড়ানো হলে কৃষকরা লাভবান হবে।
এদিকে হিমাগারের আওতায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আনুপাতিক হারে ঋণ দেয়া হলেও ঋণের টাকা আদায় নিয়ে হিমসিমে আছি। হিমাগারে ২ লাখ ৯৫ হাজার বস্তার মধ্যে এখনো ২ লাখ বস্তা পড়ে আছে। কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, গত বছর আলুর ফলন ভালো ও দাম ভালো ছিল। চলতি মৌসুমে ৩টি হিমাগারে ২০ হাজার টন আলু সংরক্ষিত করা হয়। আলুর দাম বাড়ানো হলে কৃষকরা লাভবান হবে।