বাংলারজমিন

লেবুখালী-পায়রা সেতুতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার

জলযানের ধাক্কা থেকে রক্ষায় নিরাপত্তা পিলার স্থাপন

এম এ কুদ্দুস, দুমকি (পটুয়াখালী) থেকে

১৪ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:১৮ অপরাহ্ন

দুমকির লেবুখালীতে নির্মিত পায়রা-লেবুখালী সেতুতে বেশকিছু বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সেতুর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আগেভাগেই অবগত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। একইসঙ্গে কোনো কিছুর ধাক্কা থেকে রক্ষায় পিলারের পাশে নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এতে সেতুর স্থায়িত্ব বাড়বে বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সাম্প্রতিক সময় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে বারবার ফেরি ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এ সেতুর দু’টি পিলারে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ জন্য পিলারের পাশে স্টিলের কাঠামো দিয়ে প্রটেকশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশে এই প্রথম কোনো সেতুতে হেলথ মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে বজ্রপাত ও ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা ওভার লোডেড যানবাহন চলাচলে সেতুর ভাইব্রেশন সিস্টেমে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে সে বিষয়ে এ সিস্টেম ওয়ার্নিং দেবে। এটি দেশের দ্বিতীয় সেতু যা এক্সট্রা জোট ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝে একটি এবং দু’পাড়ে ২টি পিলারের উপর মূল সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। বড় আকারের ৩টি পিলারের সঙ্গে দু’পাশে মোট ১২টি করে ক্যাবল সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে করে মোট ৩৬টি ক্যাবল ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু নদীর মধ্যে একটি মাত্র পিলার স্থাপন করা হয়েছে সেহেতু নদীর গতিপথ কিংবা প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে না। এটি বাংলাদেশের সব থেকে বড় স্প্যান বিশিষ্ট সেতু। যার দৈর্ঘ্য ২শ’ মিটার। এতে পদ্মা সেতুর থেকেও বেশি বড় স্প্যান সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মায় ১২০ মিটার পাইলিং করা হলেও এ সেতুতে ১৩০ মিটার পাইলিং করা হয়েছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করছে। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দু’পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে মূল সেতু নির্মাণ করেন। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ হারুনুর রশিদ হাওলাদার, দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ও সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম গতকাল সেতু পরিদর্শন করেন। দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করবে পায়রা-লেবুখালী সেতু। এ ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই অক্টোবরে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে  দিবেন। এ কারণে সেতুটি এখন যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status