বিশ্বজমিন
স্বামীর সমান আয় করেন না নারীরা
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ১:৩৯ অপরাহ্ন
বিশ্বজুড়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আয়ে বিস্তর পার্থক্য আছে। স্বামীরা যে অর্থ উপার্জন করেন, তার সমান আয় করেন না বেশির ভাগ নারী। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে। অনলাইন বিবিসিতে এ কথা লিখেছেন সাংবাদিক গীতা পান্ডে। বলা হয়েছে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার দশকে ৪৫টি দেশ থেকে প্রাপ্ত সরকারি ডাটা নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। এটাই স্বামী-স্ত্রীর আয়ের বিষয়ে প্রথম বৈশ্বিক পর্যায়ের গবেষণা। এতে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে স্বামী এবং স্ত্রী সমান বেতন পান কিনা। গবেষণায় অংশ নেন ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সেন্টার ফর পাবলিক পলিসির প্রফেসর হেমা স্বামীনাথন এবং প্রফেসর দীপক মালগান। তারা ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সীসীমার ৩৮ লাখ ৫০ হাজার পরিবারের ডাটা নিয়ে এই গবেষণা করেন। ডাটাগুলো সংকলিত করে অলাভজনক লুক্সেমবার্গ ইনকাম স্টাডি (এলআইএস)। এতে দেখা গেছে, পরিবারগুলো একটি ‘ব্লাক বক্স’-এর মতো। প্রফেসর স্বামীনাথন বলেন, আমরা পরিবারগুলোর ভিতরের দৃশ্য দেখতে পাইনি। যদি আমরা এর ভিতরে দেখতে পেতাম তাহলে বৈষম্যটি পরিষ্কার হতো। ভারতে শ্রম শক্তিতে লিঙ্গ বৈষম্য আছে বলে সুপরিচিত। এমনিতেই সেখানে কর্মক্ষেত্রে কম নারী। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে এমনও নারী আছেন, যারা ফুল টাইম কাজ করতে পছন্দ করেন না।
এসব গবেষণা থেকে বৈশ্বিক একটি চিত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রফেসর স্বামীনাথন এবং মালগান। তারা বলেছেন, নরডিক দেশগুলো লিঙ্গ সমতায় আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি সেখানকার চিত্র এটা? সেখানে কর্মসংস্থান বন্টন এবং বাড়িতে সম্পদের দিক থেকে কি এই সমতা আছে?- প্রশ্ন করেন প্রফেসর স্বামীনাথন। তারা সার্বিকভাবে অসমতা এবং আন্তঃপরিবারে অসমতার ভিত্তিতে দেশগুলোর র্যাংকিং করেছেন। তাদের গবেষণার ফল অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে লিঙ্গ অসমতা বিদ্যমান। ধনী ও গরিব পরিবারগুলোতেও আছে অসমতা। সাম্প্রতিক সময়ের যেসব ডাটা তাও গবেষণা করা হয়েছে। এর আওতায় এসেছে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন এমন পরিবারও। কিন্তু ধনী বা সবচেয়ে উচ্চত দেশগুলোতে এমন একটি দেশও নেই, যেখানে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীরা বেশি উপার্জন করেন। অথবা সমান উপার্জন করেন। প্রফেসর স্বামীনাথন বলেন, এমনকি নরডিক দেশগুলোতেও লিঙ্গগত বৈষম্য দেখা গেছে। তবে এসব দেশে তা সর্বনি¤œ পর্যায়ে। আমরা প্রতিটি স্থানে দেখতে পেয়েছি নারীদের শেয়ার শতকরা ৫০ ভাগের কম। সংস্কৃতিগত দিক থেকে পুরুষদেরকে দেখা হয় রুটিরোজগারের ব্যক্তি হিসেবে। অন্যদিকে নারীদের দেখা হয় গৃহিণী হিসেবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও’র ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বেতন পান না অথচ সেবা দিয়ে যান, এমন শতকরা ৭৬.২ ভাগ কর্মঘন্টা কাজ করেন নারীরা। একজন পুরুষের তুলনায় তা তিনগুনেরও বেশি। এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তা শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত।
এসব গবেষণা থেকে বৈশ্বিক একটি চিত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রফেসর স্বামীনাথন এবং মালগান। তারা বলেছেন, নরডিক দেশগুলো লিঙ্গ সমতায় আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি সেখানকার চিত্র এটা? সেখানে কর্মসংস্থান বন্টন এবং বাড়িতে সম্পদের দিক থেকে কি এই সমতা আছে?- প্রশ্ন করেন প্রফেসর স্বামীনাথন। তারা সার্বিকভাবে অসমতা এবং আন্তঃপরিবারে অসমতার ভিত্তিতে দেশগুলোর র্যাংকিং করেছেন। তাদের গবেষণার ফল অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে লিঙ্গ অসমতা বিদ্যমান। ধনী ও গরিব পরিবারগুলোতেও আছে অসমতা। সাম্প্রতিক সময়ের যেসব ডাটা তাও গবেষণা করা হয়েছে। এর আওতায় এসেছে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই চাকরি করেন এমন পরিবারও। কিন্তু ধনী বা সবচেয়ে উচ্চত দেশগুলোতে এমন একটি দেশও নেই, যেখানে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীরা বেশি উপার্জন করেন। অথবা সমান উপার্জন করেন। প্রফেসর স্বামীনাথন বলেন, এমনকি নরডিক দেশগুলোতেও লিঙ্গগত বৈষম্য দেখা গেছে। তবে এসব দেশে তা সর্বনি¤œ পর্যায়ে। আমরা প্রতিটি স্থানে দেখতে পেয়েছি নারীদের শেয়ার শতকরা ৫০ ভাগের কম। সংস্কৃতিগত দিক থেকে পুরুষদেরকে দেখা হয় রুটিরোজগারের ব্যক্তি হিসেবে। অন্যদিকে নারীদের দেখা হয় গৃহিণী হিসেবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও’র ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বেতন পান না অথচ সেবা দিয়ে যান, এমন শতকরা ৭৬.২ ভাগ কর্মঘন্টা কাজ করেন নারীরা। একজন পুরুষের তুলনায় তা তিনগুনেরও বেশি। এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তা শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত।