কলকাতা কথকতা

কলকাতা কথকতা

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছর সাড়ে তিনহাজার, বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা

১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিষধর সাপ ভাড়া করে সেই সাপের দংশনে খুন করানোর প্রবণতা বাড়ছে ভারতের রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও কেরালায়। সম্প্রতি কেরালার কল্লাম জেলায় স্ত্রীকে ভাইপারের কামড় খাইয়ে খুন করার ঘটনকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের আওতাভুক্ত করেছে আদালত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে উদ্ভূত এই খুন করার পদ্ধতি অনুসৃত হবে উপমহাদেশে। সেক্ষেত্রে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছর সাড়ে তিনহাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। ওয়ার্ড হেলথ অর্গানাইজেসন এর প্রদত্ত হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন বাংলাদেশে সাপের কামড়ে মারা যায় ১৬ জন অর্থাৎ বছরে পাঁচ হাজার ৫৪০ জন যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিষধর সাপের কামড়ের ১০০ মিনিটের মধ্যে যদি ১০০ মিলিগ্রাম অ্যান্টি স্নেক ভেনম দেওয়া যায় তাহলে ১০০ শতাংশর প্রাণ বাঁচতে পারে। কিন্তু, সাপের কামড়ের পর দুই বাংলাতেই ওঝা, গুনিন পর্ব চলে বেশ কিছুক্ষন। ফলে, দংশিত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত কাশিপুর অঞ্চলের কাউখালিতে সাপের কামড়ের ঘটনা সব থেকে বেশি। এখানে মৃত্যুও বেশি। কারণ, ওঝা গুনিনের সংখ্যাধিক্য।
পশ্চিমবাংলায় সাড়ে তিনহাজার সাপর কামড়ে মৃত্যুর ৮০ শতাংশই রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে। বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় কোবরা অর্থাৎ গোখরোর কামড়ে। গ্রামীণ বাংলাদেশে প্রতি একলক্ষে ৬২৩.৪ জন সাপের কামড় খায়। মৃত্যুর হার ০.২ থেকে ২২ শতাংশ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status