অনলাইন
আলোচনায় সভায় বক্তারা:
পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১২ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৩৫ অপরাহ্ন
দেশে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার উপরে গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সাথে ১২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার হার (ড্রপ আউট) ৩৭ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে এবং অপূর্ণ চাহিদার হার ১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে নামানোর উপর জোর দিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলের কনফারেন্স রুমে ‘ন্যাশনাল ডেসিমিনেশন অব কোর্টইয়ার্ড গাইডলাইন্স’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস ডেলিভারি ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সারা বিশ্বে সমাদৃত। যা অনেক দেশের জন্য একটি মডেল হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক দশক ধরে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এই সাফল্য অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা হল, আগামী জুন ২০২২ সালের মধ্যে বিবাহিত সক্ষম মহিলা প্রতি গড় সন্তান সংখ্যা (TFR) ২.০-এ নামিয়ে আনা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার (CPR) ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। সেইসাথে ১২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার হার (ড্রপ আউট) ৩৭ শতাংশে থেকে ২০ শতাংশে এবং অপূর্ণ চাহিদার হার (Unmet need) ১২ শতাংশে থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে এ কমিয়ে আনতে হবে।
তারা বলেন, আমাদের পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদার হার পূরণ করে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে এবং বিবাহিত সক্ষম মহিলা প্রতি গড় সন্তানসংখ্যা ২-এ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সকলের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। আমরা যদি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই তাহলে তৃণমূল পর্যন্ত সেবা পৌছে দেয়ার জন্য সেবাদানকারীর দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার গুণগত ও কৌশলগত মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও কাজ করতে হবে। এক্ষত্রে সরকারি, বেসরকারি এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের বাস্তবায়ন। সেইসাথে, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেয়া সবচেয়ে জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
বক্তারা জানান, উঠান বৈঠক মানুষের দ্বারে দ্বারে তথ্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত। এছাড়াও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের সকল সেবা প্রদানকারীদের তৃণমূল ও মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উঠান বৈঠক একটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে তাদের প্রত্যাশা। বিশেষতঃ তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য উঠান বৈঠক পরিচালনা বিষয়ক একটি নির্দেশিকারও খুব প্রয়োজন ছিল।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফ্যামিলি প্ল্যানিং-ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি সারা দেশে পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি (পিল, কনডম এবং ইজেকটেবলসহ) তৃণমূল এবং সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বসতি এলাকায়ও পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবায় আপন ও কনডম প্রদানের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলের কনফারেন্স রুমে ‘ন্যাশনাল ডেসিমিনেশন অব কোর্টইয়ার্ড গাইডলাইন্স’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস ডেলিভারি ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সারা বিশ্বে সমাদৃত। যা অনেক দেশের জন্য একটি মডেল হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক দশক ধরে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এই সাফল্য অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা হল, আগামী জুন ২০২২ সালের মধ্যে বিবাহিত সক্ষম মহিলা প্রতি গড় সন্তান সংখ্যা (TFR) ২.০-এ নামিয়ে আনা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার (CPR) ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। সেইসাথে ১২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার হার (ড্রপ আউট) ৩৭ শতাংশে থেকে ২০ শতাংশে এবং অপূর্ণ চাহিদার হার (Unmet need) ১২ শতাংশে থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে এ কমিয়ে আনতে হবে।
তারা বলেন, আমাদের পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদার হার পূরণ করে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে এবং বিবাহিত সক্ষম মহিলা প্রতি গড় সন্তানসংখ্যা ২-এ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সকলের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। আমরা যদি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই তাহলে তৃণমূল পর্যন্ত সেবা পৌছে দেয়ার জন্য সেবাদানকারীর দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার গুণগত ও কৌশলগত মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও কাজ করতে হবে। এক্ষত্রে সরকারি, বেসরকারি এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের বাস্তবায়ন। সেইসাথে, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেয়া সবচেয়ে জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
বক্তারা জানান, উঠান বৈঠক মানুষের দ্বারে দ্বারে তথ্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত। এছাড়াও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের সকল সেবা প্রদানকারীদের তৃণমূল ও মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য উঠান বৈঠক একটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে তাদের প্রত্যাশা। বিশেষতঃ তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য উঠান বৈঠক পরিচালনা বিষয়ক একটি নির্দেশিকারও খুব প্রয়োজন ছিল।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফ্যামিলি প্ল্যানিং-ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি সারা দেশে পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি (পিল, কনডম এবং ইজেকটেবলসহ) তৃণমূল এবং সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বসতি এলাকায়ও পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবায় আপন ও কনডম প্রদানের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।