বাংলারজমিন
জাফলংয়ে ফয়জুলের নেতৃত্বে বালু লুটপাটের অভিযোগ, স্মারকলিপি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন
জাফলংয়ের ফয়জুলের নেতৃত্বে নির্বিচারে বালু ও পাথর লুটপাট বন্ধে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মুতলিব। স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন- পাথরখেকো চক্রের মূল হোতা ফয়জুল ইসলাম ওরপে বিশ্বনাথী ফয়জুল, সুভাস দাস, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিবারের জামাই ইমরান হোসেন সুমন ওরফে জামাই সুমন মিলে এবার জাফলংকে ধ্বংসের প্রক্রিয়ায় মেতে উঠেছে। তারা গত ৪ মাসে অন্তত ২০ কোটি টাকার বালু লুট করেছে বলে দাবি করেন আব্দুল মতলিব। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে তিনি এ দাবি করেন। স্মারকলিপিতে তিনি জানান- জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামের আলিম উদ্দিন স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছিলেন। এছাড়া সিলেটের দুটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পাথর ও বালু লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়েছিল। এরপরও ওই বালুখেকো চক্র বাংলাবাজার থেকে পাঁচসেওতি এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় নির্বিচারে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া, স্থানীয় বিট পুলিশের সহযোগিতায় রাতের আঁধারে জাফলং ইসিএ জোন এলাকা থেকে কুখ্যাত পাথরখেকো সিন্ডিকেটের মুল হোতা ফয়জুল ইসলাম ওরফে বিশ্বনাথী ফয়জুলের নেতৃত্বে সুভাস, মুজিব ও সুমন বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। স্মারকলিপিতে তিনি জানান, ছাতকের আলাউদ্দিন ও বিশ্বনাথের ফয়জুল সিলেট জেলার কুখ্যাত ও বালু পাথরখেকো চক্র। ওরা পরিবেশ বিনষ্টকারী। প্রায় ১০ বছর আগে তারা কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে যন্ত্রদানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর লুটপাট করতে চাইছিল। ওই সময় ভোলাগঞ্জের সচেতন মানুষ তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তাড়িয়ে দিলে বোমা মেশিন নিয়ে তারা জাফলংয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের ‘অঘোষিত শাসক’ হয়ে গেছে ফয়জুল ইসলাম ওরফে বিশ্বনাথী ফয়জুল। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণেই এখন জাফলংয়ে অশান্তি বিরাজ করছে। জাফলং-বাংলাবাজার হয়ে পাঁচসেওতী বাজার পর্যন্ত এবার যে বালু লুটপাট করা হয়েছে তার নেপথ্যে নায়ক বিশ্বনাথী ফয়জুল। তিনি জানান, এলাকার এমপি, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন নয়াবস্তি গ্রামের আলীম উদ্দিন ও তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী। মন্ত্রী নিজেও জাফলংয়ের অবৈধ বালু ও পাথর লুটপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু গোয়াইনঘাটের প্রশাসনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি- যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বরং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পাথর ও বালুখেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে, গত সোমবার রাত থেকে জাফলংয়ের ইসিএ জোন এলাকায় ফের বালু লুটপাট চালাচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করেন আব্দুল মতলিব।