বাংলারজমিন
মাস্টার্স পরীক্ষার্থীকে চোর অপবাদে পিটিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:০০ অপরাহ্ন
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় রায়ের মহল এলাকায় সালমান শাহ (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫শে সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যান তিনি। নিহত সালমান শাহ রূপসা সামন্তসেনা গ্রামের সেকেন্দার আলীর সেজো ছেলে। আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। তবে প্রধান আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেয়ার জন্য রূপসা থেকে যশোর এম এম কলেজে পরের দিন পরীক্ষা দিতে যাবে এ জন্য আড়ংঘাটা থানা দিন রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া এলাকায় বন্ধু রোমান খন্দকারের বাড়ি আসেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় একটি গ্রুপ ওত পেতে বসে থাকে। সালমান শাহ রাত ১০টার দিকে এলাকায় ঢুকলেই প্রথমে তাকে ডাক দেয়। এরপরে তাকে চোর বলে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে পিটিয়ে তারা হাত পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে দেয় এবং মাথায় আঘাত করলে বমি হতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তির ৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহত সালমান শাহ’র ভাই মোহাম্মদ শাহিন শেখ বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার এবং রাব খন্দকার। আড়ংঘাটা থানায় মামলা নম্বর ৬।
আসামিদের মধ্যে আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার এবং রাব খন্দকার। আড়ংঘাটা থানায় মামলা নম্বর ৬।