বাংলারজমিন
চেয়ারম্যানের নির্দেশে জখমের পর দুই পায়ের রগ কর্তন
বরগুনা প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:০০ অপরাহ্ন
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখমের পর দুই পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি গ্রামে গতকাল সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত আবদুল মান্নান ফকিরকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মান্নান কাকচিড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাইনচটকি গ্রামের লেহাজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক। মান্নানের মেয়ে মুন্নি আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে বাবা ইজিবাইক চালাতে কাকচিড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। জহির জোমাদ্দারের বাড়ির সামনে পৌঁছতে কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর বোন হাসি বেগমের নেতৃত্বে কয়েকজন তার গতিরোধ করেন। এ সময় একজন লাঠি দিয়ে পেছন থেকে বাবাকে আঘাত করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মান্নান বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বোন হাসি যখন লোকজন নিয়ে আমাকে রাস্তায় আটকাইছে তখন চেয়ারম্যান পল্টু হাসিরে ফোনে কইতেছিল, ওর হাত পায়ের রগ কাইট্টা দে, তাইলেই মইরা যাইবে আনে। হেইয়ার পরই মোর মাতায় পিছন দিয়া পিডান দেয়। আর কিছু মনে করতে পারছি না।’ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক মো. তারেক রহমান বলেন, মান্নানের মাথার পেছনে আঘাত রয়েছে। উভয় পায়ের গোড়ালিতে ধারালো অস্ত্রের জখম হয়েছে। ডান পায়ের জখম গুরুতর। রগ কেটেছে কিনা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না।
কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু বলেন, মান্নাকে কে বা কারা মেরেছে আমার জানা নেই। সে বরাবরই আমার বিরোধিতা করে আসছে। এখন তাকে মারধরের বিষয়েও দোষারোপ করে ফায়দা নিতে চাইছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, সেখানে আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মান্নান বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বোন হাসি যখন লোকজন নিয়ে আমাকে রাস্তায় আটকাইছে তখন চেয়ারম্যান পল্টু হাসিরে ফোনে কইতেছিল, ওর হাত পায়ের রগ কাইট্টা দে, তাইলেই মইরা যাইবে আনে। হেইয়ার পরই মোর মাতায় পিছন দিয়া পিডান দেয়। আর কিছু মনে করতে পারছি না।’ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক মো. তারেক রহমান বলেন, মান্নানের মাথার পেছনে আঘাত রয়েছে। উভয় পায়ের গোড়ালিতে ধারালো অস্ত্রের জখম হয়েছে। ডান পায়ের জখম গুরুতর। রগ কেটেছে কিনা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না।
কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু বলেন, মান্নাকে কে বা কারা মেরেছে আমার জানা নেই। সে বরাবরই আমার বিরোধিতা করে আসছে। এখন তাকে মারধরের বিষয়েও দোষারোপ করে ফায়দা নিতে চাইছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, সেখানে আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।