প্রথম পাতা
ই-কমার্সে প্রতারিত বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:১৯ অপরাহ্ন
ই-কমার্সে বা অনলাইনে গরু অর্ডার দিয়ে নিজেও প্রতারিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল এক মতবিনিময় সভায় অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে নিজের এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনলাইনে কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার অনলাইনে কোরবানির গরু কিনে আমি নিজেও ভুক্তভোগী হয়েছি। গত কোরবানির আগের কোরবানির ঈদে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কোরবানির হাট বসে। ওই হাট উদ্বোধনের দিন মন্ত্রী হিসেবে আমাকেও রাখা হয়েছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি একটি কোরবানির গরু কিনলাম। তার আগে আমি জানতে চাইলাম কত দাম? আমাকে জানানো হলো ১ লাখ টাকা। গরু কিনলাম। আগাম পেমেন্ট করলাম।
‘বসে আছি চার-পাঁচদিন। কোনো খবর নেই। ছয়-সাত দিন পর আমাকে জানালো, সেই গরু আর নেই। বলেছিলাম কি হলো সেটা? ওটা আরেকজন নিয়ে গেছেন। জানতে চাইলাম আমার গরু আরেকজন নিয়ে চলে গেল? আপনারা সেটা দিয়ে দিলেন? আমি বললাম, আমি মন্ত্রী। আমারই যদি গরু না থাকে, তাহলে?’
বাণিজ্যমন্ত্রী হেসে বলেন, তিনদিন পর কোম্পানি জানালো, চিন্তা কইরেন না আমরা আপনাকে আরেকটা গরু দিচ্ছি। তারা আরেকটা গরুর ছবি দেখালো; দাম চায় ৮৭ হাজার টাকা।
‘কী বলবো। আমি তো তাদের কাছে বন্দি। বললো, বাকি ১৩ হাজার টাকায় আমাকে একটা ছাগল দেবে। সবকিছু তারাই বললো। আর আমি শুনেই যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত তাদের বললাম ওটা কোরবানি করে এক ভাগ আমার বাসায় পাঠিয়ে দেন। বাকি দুই ভাগ বিলি করে দেন। তবে ছাগলটা জ্যান্ত আমাকে পাঠিয়েছিল।
সব উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা কিন্তু প্রথমবার। দ্বিতীয়বার সমস্যা হয়নি। তখন এ সুযোগটা তাদের দেয়া হয়েছে। ঠিক আছে আমি নিজে ভুক্তভোগী। কিন্তু যদি শুনতাম আমার টাকাও নাই গরুও নাই, তাহলে হয়তো মামলা-টামলা করা যেতো।
নিজের এ অভিজ্ঞতা বলার উদ্দেশ্য নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমার কথা বলার উদ্দেশ্য হলো ই-কমার্স খাতে যা হয়েছে সেটি প্রথম বলেই ঘটেছে। কিন্তু এ খাতটি খুবই সম্ভাবনাময়। ১০-২০টা খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য পুরো সেক্টরের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে এর দায় এড়াতে চাই না বলেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অংশীজনদের সঙ্গে বসে আলোচনা করছে। উপায় খোঁজার চেষ্টা করছে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য পৃথক আইন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার।
যৌথ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম। এ সময় ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামসহ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার অনলাইনে কোরবানির গরু কিনে আমি নিজেও ভুক্তভোগী হয়েছি। গত কোরবানির আগের কোরবানির ঈদে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কোরবানির হাট বসে। ওই হাট উদ্বোধনের দিন মন্ত্রী হিসেবে আমাকেও রাখা হয়েছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি একটি কোরবানির গরু কিনলাম। তার আগে আমি জানতে চাইলাম কত দাম? আমাকে জানানো হলো ১ লাখ টাকা। গরু কিনলাম। আগাম পেমেন্ট করলাম।
‘বসে আছি চার-পাঁচদিন। কোনো খবর নেই। ছয়-সাত দিন পর আমাকে জানালো, সেই গরু আর নেই। বলেছিলাম কি হলো সেটা? ওটা আরেকজন নিয়ে গেছেন। জানতে চাইলাম আমার গরু আরেকজন নিয়ে চলে গেল? আপনারা সেটা দিয়ে দিলেন? আমি বললাম, আমি মন্ত্রী। আমারই যদি গরু না থাকে, তাহলে?’
বাণিজ্যমন্ত্রী হেসে বলেন, তিনদিন পর কোম্পানি জানালো, চিন্তা কইরেন না আমরা আপনাকে আরেকটা গরু দিচ্ছি। তারা আরেকটা গরুর ছবি দেখালো; দাম চায় ৮৭ হাজার টাকা।
‘কী বলবো। আমি তো তাদের কাছে বন্দি। বললো, বাকি ১৩ হাজার টাকায় আমাকে একটা ছাগল দেবে। সবকিছু তারাই বললো। আর আমি শুনেই যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত তাদের বললাম ওটা কোরবানি করে এক ভাগ আমার বাসায় পাঠিয়ে দেন। বাকি দুই ভাগ বিলি করে দেন। তবে ছাগলটা জ্যান্ত আমাকে পাঠিয়েছিল।
সব উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা কিন্তু প্রথমবার। দ্বিতীয়বার সমস্যা হয়নি। তখন এ সুযোগটা তাদের দেয়া হয়েছে। ঠিক আছে আমি নিজে ভুক্তভোগী। কিন্তু যদি শুনতাম আমার টাকাও নাই গরুও নাই, তাহলে হয়তো মামলা-টামলা করা যেতো।
নিজের এ অভিজ্ঞতা বলার উদ্দেশ্য নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমার কথা বলার উদ্দেশ্য হলো ই-কমার্স খাতে যা হয়েছে সেটি প্রথম বলেই ঘটেছে। কিন্তু এ খাতটি খুবই সম্ভাবনাময়। ১০-২০টা খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য পুরো সেক্টরের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে এর দায় এড়াতে চাই না বলেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অংশীজনদের সঙ্গে বসে আলোচনা করছে। উপায় খোঁজার চেষ্টা করছে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য পৃথক আইন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার।
যৌথ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম। এ সময় ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামসহ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।