বাংলারজমিন
মাধবপুরে অটোরিকশা গ্যারেজ যেন মরণ ফাঁদ
ইয়াছিন তন্ময়, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:১১ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মুনাফা হাসিলের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজ। হাইকোর্টের এক রায়ে ইতিমধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোকে চলাচলে অবৈধ ঘোষণা করলেও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় এসব অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে চলায় এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অটোরিকশাগুলো চার্জ দেয়ার জন্য গড়ে তুলছে অটোরিকশা চার্জিং গ্যারেজ। ফলে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে ও বাড়ছে বিদ্যুতের ঘাটতি। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধবপুর পৌরসভাতেই প্রায় ১৮টি অটোরিকশা চার্জিং গ্যারেজ আছে। এ ছাড়াও উপজেলার প্রতি ইউনিয়নেও চার্জিং গ্যারেজ আছে।
সরজমিন গিয়ে এসব চার্জিং গ্যারেজগুলো ঘুরে দেখা যায় যে, কোনো গ্যারেজই বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের বা ওয়ারিংয়ের কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই চার্জিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। চার্জিং গ্যারেজগুলোতে যত্রতত্রভাবে রিকশা চার্জ দেয়া হচ্ছে এবং গ্যারেজে বৈদ্যুতিক তারগুলো এলোপাতাড়িভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সেখানে পড়ে আছে। ফলে অটোরিকশা গ্যারেজগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে গত ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অটোরিকশা গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৪ জন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা গ্যারেজের ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল কাশেম জানান, আমরা ইতিমধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মাধবপুর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করেছি। খবর পেলে অবৈধ গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিচ্ছি। রাতের বেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের লোকরা নিয়ম লঙ্ঘন করে তৈরি করা গ্যারেজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চার্জিংয়ের জন্য কিছু সংখ্যক গ্যারেজের অনুমোদন দিয়েছি। কতগুলো গ্যারেজের অনুমোদন দিয়েছে তার সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি সঠিক সংখ্যার হিসাব জানেন না বলে জানান। সরকারি আদেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার্জিং-এর জন্য অটোরিকশা গ্যারেজ নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে আমরা সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে মিটিং করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। লিফলেট বানানো হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে এসব চার্জিং গ্যারেজগুলো ঘুরে দেখা যায় যে, কোনো গ্যারেজই বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের বা ওয়ারিংয়ের কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই চার্জিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। চার্জিং গ্যারেজগুলোতে যত্রতত্রভাবে রিকশা চার্জ দেয়া হচ্ছে এবং গ্যারেজে বৈদ্যুতিক তারগুলো এলোপাতাড়িভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সেখানে পড়ে আছে। ফলে অটোরিকশা গ্যারেজগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে গত ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অটোরিকশা গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৪ জন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা গ্যারেজের ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল কাশেম জানান, আমরা ইতিমধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মাধবপুর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করেছি। খবর পেলে অবৈধ গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিচ্ছি। রাতের বেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের লোকরা নিয়ম লঙ্ঘন করে তৈরি করা গ্যারেজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চার্জিংয়ের জন্য কিছু সংখ্যক গ্যারেজের অনুমোদন দিয়েছি। কতগুলো গ্যারেজের অনুমোদন দিয়েছে তার সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি সঠিক সংখ্যার হিসাব জানেন না বলে জানান। সরকারি আদেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার্জিং-এর জন্য অটোরিকশা গ্যারেজ নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে আমরা সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে মিটিং করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। লিফলেট বানানো হয়েছে।