বাংলারজমিন

সেই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:০৭ অপরাহ্ন

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে ছড়িয়ে দেয় একই ক্লাসের সহপাঠী নাঈম। ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বিচারে সহযোগিতা না পাওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল ওই ছাত্রী।
এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিন এ ‘অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে টিকটক ভিডিও, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার হুমকি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মাকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা নিয়েছে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার বলেন, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০২০-এর ১০ তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, বখাটে নাঈম তার একই ক্লাসের সহপাঠী ও মামলার বাদীর মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় এক বছর আগে নাঈমের মামা ইউসুফের কাছে বিচার দিয়েও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগী পরিবারটি। এরপরে গত বুধবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বখাটে নাঈম। এরপর বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক নাঈমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটা থানার গিয়ে বিষয়টি ওসি আবুল বাশারকে জানান এবং সেই আপত্তিকর ভিডিওটি তাকে দেখিয়ে মামলা করবে বলে জানান ওই ছাত্রী ও তার মা। কিন্তু ওসি দীর্ঘক্ষণ তাদের বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে তার ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। বখাটে নাঈম পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজিরখাল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সগির খানের ছেলে। সগির খানের স্ত্রী ছেলে নাঈমকে নিয়ে পৌরশহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আসামিদ্বয় পলাতক রয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে দু’জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status