বিশ্বজমিন
জাতিসংঘে ইমরান খানের বক্তব্যকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেজী বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। ইমরান খান দাবি করেছেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। অথচ এ বিষয়ে বিশ্ব মুখ বন্ধ করে আছে। জবাবে ভারত বলেছে, কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড অংশ। তাই কাশ্মীরকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতের এ দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরকে নিজেদের আভ্যন্তরীণ বিষয় দাবির পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ এনেছে ভারত। এর জবাবে পাকিস্তানের প্রতিনিধি সায়মা সালিম বলেছেন, কাশ্মীর ভারতের তথাকথিত অখণ্ড অংশ নয়। ফলে এ ইস্যুটি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যুতে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। এতে তিনি বিশ্ববাসীর কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, দখল করে নেয়া কাশ্মীরে ভারতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নীরবতা অবলম্বন করছে বিশ্ব। ইমরান খানের এই সমালোচনার জবাব দেন ভারতের প্রতিনিধিরা। ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে বলেছেন, সন্ত্রাসের শিকার এমনটা অভিনয় করছে পাকিস্তান। পক্ষান্তরে তারা সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দখলীকৃত কাশ্মীর, লাদাখ সব সময়ই ভারতের অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, এর মধ্যে কিছু অংশ আছে যা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে।
স্নেহা দুবের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রতিনিধি সায়মা সালিম। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে ভারত। জাতিসংঘের অধীনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে মুক্ত এবং পক্ষপাতিত্বহীন গণভোটের মাধ্যমে এখান থেকে তাদের চূড়ান্ত দফায় সরে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অসংখ্য রেজ্যুলুশনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দখলীকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার যেভাবে ভয়াবহ রকম লঙ্ঘন হচ্ছে তা থেকে মিথ্যা কথা বলার মাধ্যমে এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে ভারত ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ নতুন কিছু নয়, বিস্ময়করও নয়। তাদের এই রীতি শাসক গোষ্ঠী এবং সরকার কাঠামোতে প্রবেশ করেছে। এক্ষেত্রে ইইউ ডিজইনফো ল্যাব ব্যাখ্যা করেছে জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি, প্রতারণা এবং গুজব ছড়িয়ে দিতে হাতিয়ার হিসেবে কাশ্মীরকে ব্যবহার করছে ভারত। সায়মা সালিম বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের দুটি রিপোর্টে কাশ্মীরে ভারত কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা প্রামাণ্য আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট থেকে হাই কমিশনার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে এবং অধিকার পূর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠা করতে। এসব অধিকার বর্তমান জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আরো কয়েকজন স্পেশাল র্যাপোর্টিউর এবং ম্যান্ডেট হোল্ডার দখল করে নেয়া জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘ফ্রি ফল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সব মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায়। সায়মা সালিম বলেন, এটা বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ওইসব অভিযোগের একটিরও জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানি এই প্রতিনিধি আরো বলেন, যারা এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার সাহস দেখিয়েছে তারাই ‘উইচহান্টের’ শিকারে পরিণত হয়েছেন। এই তো গত বছর ভারত সরকারের হাতে অব্যাহতভাবে হয়রানির অভিযোগে ভারত থেকে কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তিনি আরো যোগ করেন, ভারতের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা দখলীকৃত কাশ্মীরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার ওপর একটি দলিল প্রকাশ করেছে। তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে এসব তথ্যপ্রমাণ আমলে নিতে এবং ভারতের হায়েনার মতো এই অপরাধের জন্য জবাবদিহিতায় আনতে।
এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যুতে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। এতে তিনি বিশ্ববাসীর কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, দখল করে নেয়া কাশ্মীরে ভারতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নীরবতা অবলম্বন করছে বিশ্ব। ইমরান খানের এই সমালোচনার জবাব দেন ভারতের প্রতিনিধিরা। ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে বলেছেন, সন্ত্রাসের শিকার এমনটা অভিনয় করছে পাকিস্তান। পক্ষান্তরে তারা সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দখলীকৃত কাশ্মীর, লাদাখ সব সময়ই ভারতের অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, এর মধ্যে কিছু অংশ আছে যা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে।
স্নেহা দুবের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রতিনিধি সায়মা সালিম। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে ভারত। জাতিসংঘের অধীনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে মুক্ত এবং পক্ষপাতিত্বহীন গণভোটের মাধ্যমে এখান থেকে তাদের চূড়ান্ত দফায় সরে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অসংখ্য রেজ্যুলুশনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দখলীকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার যেভাবে ভয়াবহ রকম লঙ্ঘন হচ্ছে তা থেকে মিথ্যা কথা বলার মাধ্যমে এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে ভারত ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ নতুন কিছু নয়, বিস্ময়করও নয়। তাদের এই রীতি শাসক গোষ্ঠী এবং সরকার কাঠামোতে প্রবেশ করেছে। এক্ষেত্রে ইইউ ডিজইনফো ল্যাব ব্যাখ্যা করেছে জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি, প্রতারণা এবং গুজব ছড়িয়ে দিতে হাতিয়ার হিসেবে কাশ্মীরকে ব্যবহার করছে ভারত। সায়মা সালিম বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারের দুটি রিপোর্টে কাশ্মীরে ভারত কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা প্রামাণ্য আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট থেকে হাই কমিশনার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে এবং অধিকার পূর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠা করতে। এসব অধিকার বর্তমান জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আরো কয়েকজন স্পেশাল র্যাপোর্টিউর এবং ম্যান্ডেট হোল্ডার দখল করে নেয়া জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘ফ্রি ফল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সব মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায়। সায়মা সালিম বলেন, এটা বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ওইসব অভিযোগের একটিরও জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানি এই প্রতিনিধি আরো বলেন, যারা এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার সাহস দেখিয়েছে তারাই ‘উইচহান্টের’ শিকারে পরিণত হয়েছেন। এই তো গত বছর ভারত সরকারের হাতে অব্যাহতভাবে হয়রানির অভিযোগে ভারত থেকে কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তিনি আরো যোগ করেন, ভারতের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা দখলীকৃত কাশ্মীরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার ওপর একটি দলিল প্রকাশ করেছে। তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে এসব তথ্যপ্রমাণ আমলে নিতে এবং ভারতের হায়েনার মতো এই অপরাধের জন্য জবাবদিহিতায় আনতে।