বাংলারজমিন
নবাবগঞ্জের নয়াডাঙ্গী-শেরপুর রাস্তার বেহাল দশা
খালিদ হোসেন সুমন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের নয়াডাঙ্গী হয়ে শেরপুর দিয়ে রানীবাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হয়ায় রাস্তাটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। পুরো রাস্তায় খানাখন্দে ভরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর জুড়েই এ রাস্তায় ভোগান্তির অন্ত নেই, এ যেন নরক যন্ত্রনা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় বয়স্ক নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী ও গর্ভবতী মায়েদের।
সরজমিন জানা যায়, প্রায় ২ যুগ আগে রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রশস্ত করা হয়েছিল। এরপর তেমন কোনো উল্লেখ্য যোগ্য সংস্কার কাজ চোখে পড়েনি। চলতি বছর বৃষ্টি মৌসমে কিছু কিছু স্থানে নামমাত্র ইটের খোয়া ফেলা হলেও মাহেন্দ্রা গাড়ি চলাচল করায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে রাস্তায় চলাচলে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। স্থানীয় আব্দুল হালিম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিনা ভোটে চেয়ারম্যান মেম্বার হতে পারলে রাস্তা করার দরকার কী। চেয়ারম্যানের তো চোখ নাই রাস্তা করবো কেমনে? একই এলাকার শেখ আলাউদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বলে সরকার টাকা না দিলে কাজ করবো কেমনে। এ দেশের কোথাও এ রকম আর কোনো রাস্তা নাই মনে হয়। মমতাজ বেগম বলেন, রোগী নিয়ে এ রাস্তায় যাওয়া যায় না। আমাদের দুঃখের শেষ নাই, কবে যে রাস্তা ভালো হইবো জানি না। অঞ্জলী আক্তার বলেন, এ রাস্তার নাম শুনলে কোনো গাড়ি আসতে চায় না। হাট-বাজারে যেতে পারি না। রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে বিদ্যুৎ অফিস থেকে কেউ আসতে চায় না। সারারাত অন্ধকারে থাকতে হয়। সবাই খালি কথা দেয়। আমার মনে হয় এ রাস্তা জীবনে আর ঠিক হবে না।
শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীমোর রহমান খান পিয়ারা বলেন, এক সময় রাস্তাটি চলাচলে উপযুক্ত ছিল না। কয়েক দফায় মাটি ভরাট করে কার্পেটিংয়ের উপযোগী করে প্রকল্প দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, রাস্তার প্রকল্পটি উপজেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে রেজুলেশন করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
সরজমিন জানা যায়, প্রায় ২ যুগ আগে রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রশস্ত করা হয়েছিল। এরপর তেমন কোনো উল্লেখ্য যোগ্য সংস্কার কাজ চোখে পড়েনি। চলতি বছর বৃষ্টি মৌসমে কিছু কিছু স্থানে নামমাত্র ইটের খোয়া ফেলা হলেও মাহেন্দ্রা গাড়ি চলাচল করায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে রাস্তায় চলাচলে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। স্থানীয় আব্দুল হালিম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিনা ভোটে চেয়ারম্যান মেম্বার হতে পারলে রাস্তা করার দরকার কী। চেয়ারম্যানের তো চোখ নাই রাস্তা করবো কেমনে? একই এলাকার শেখ আলাউদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বলে সরকার টাকা না দিলে কাজ করবো কেমনে। এ দেশের কোথাও এ রকম আর কোনো রাস্তা নাই মনে হয়। মমতাজ বেগম বলেন, রোগী নিয়ে এ রাস্তায় যাওয়া যায় না। আমাদের দুঃখের শেষ নাই, কবে যে রাস্তা ভালো হইবো জানি না। অঞ্জলী আক্তার বলেন, এ রাস্তার নাম শুনলে কোনো গাড়ি আসতে চায় না। হাট-বাজারে যেতে পারি না। রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে বিদ্যুৎ অফিস থেকে কেউ আসতে চায় না। সারারাত অন্ধকারে থাকতে হয়। সবাই খালি কথা দেয়। আমার মনে হয় এ রাস্তা জীবনে আর ঠিক হবে না।
শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীমোর রহমান খান পিয়ারা বলেন, এক সময় রাস্তাটি চলাচলে উপযুক্ত ছিল না। কয়েক দফায় মাটি ভরাট করে কার্পেটিংয়ের উপযোগী করে প্রকল্প দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, রাস্তার প্রকল্পটি উপজেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে রেজুলেশন করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।