প্রথম পাতা

ভারতে টাকা ফেরত পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা

গ্রাহকের টাকা ফেরানোর উপায় কি?

এম এম মাসুদ

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৮:৩৮ অপরাহ্ন

মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসায়ের নাম করে হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বন্ধ হয়ে গেছে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড, যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি (যুবক), ইউনিপে টু ইউ (বিডি) লিমিটেড। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, এসপিসি ওয়ার্ল্ড, নিরাপদ ডটকম, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডটকম বিডিসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। ডেসটিনি কর্তাব্যক্তিরা সুকৌশলে জনগণের কাছ থেকে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এরমধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারও করেন তারা। ৮ বছর কেটে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির ৪৫ লাখ গ্রাহকের কেউই এ পর্যন্ত কোনো টাকা ফেরত পাননি। এ ছাড়া ২০০৬ সালে যুবক ২ হাজার ৬০০ কোটি, ২০১১ সালে ইউনিপে টু ইউ ৬ হাজার কোটি আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যায়। তবুও থেমে থাকেনি এই পদ্ধতিতে প্রতারণা। এখন বদলেছে প্রতারণার ধরন।

দেশে বর্তমানে ৩০ হাজার ই-কমার্স বা অনলাইনে কেনা-বেচার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০-১২টির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে ইভ্যালিকাণ্ডে এই খাতে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খাতটাই এলোমেলো হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু গ্রাহকই নয়, মার্চেন্টদের থেকে পণ্য এনে সেই টাকাও পরিশোধ করেনি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সময়ে ২৬৬টি সমবায় সমিতি গ্রাহকদের ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, যুবকের ঘটনায় গঠন করা কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্ত, সমবায় অধিদপ্তর ও গ্রাহকদের দেয়া তথ্যমতে, গত দেড় দশকে অন্তত তিন শতাধিক কোম্পানি গ্রাহকের ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। কোনো কোনো ঘটনায় আসামিরা আত্মগোপন করেছেন। কোনো কোনো মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে কারাবাসও করছেন। কিন্তু গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাননি। কবে নাগাদ কষ্টের জমানো টাকা পাবেন তাও কেউ জানে না।

অর্থনীতিবিদরা জানান, টাকা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না। কারণ এসব কোম্পানির সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি। সেজন্য তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও নেই। আপনি তাদের ধরলেন, শাস্তি দিলেন। কিন্তু যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দেবে কে?

তবে টাকা যে ফেরত পায় না এমন নয়। ভারতের সাহারা গ্রুপ প্রায় ৩ কোটি বিনিয়োগকারী থেকে ২৪ হাজার কোটি রুপি তুলে নিয়েছিল সাহারার অধীনে থাকা দুই কোম্পানি। সাহারা গ্রুপের কেলেঙ্কারি প্রথম ধরা পড়ে ২০০৯ সালে। ১২ বছর পর অর্থ ফেরত পাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। সুপ্রিম কোর্ট সাহারা গ্রুপকে তিন কিস্তিতে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাহারা প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে ৫ হাজার ১২০ কোটি রুপি।

ভারতের সাহারা গ্রুপ অর্থ ফেরত দিতে পারলে বাংলাদেশ কেন পারবে না প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
তবে আইনজ্ঞরা জানান, গ্রাহকের টাকা ফিরে পাওয়া যাবে তবে তা সময় সাপেক্ষ। কারণ পাওনা টাকার পরিমাণ জব্দকৃত টাকা-সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি। এ ছাড়া কোন গ্রাহক কত টাকা পাবেন তার তালিকা নেই। আবার কোনো গ্রাহক এসে তার পাওনা দাবিও করছে না। আবার বিচারের পর কোম্পানিগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় খাতে দেয়া হলো। তখন ভুক্তভোগীরা কীভাবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে তাদের পাওনা আদায় করবেন, সেটি একটি জটিল প্রক্রিয়া।

ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো পথ এখনো তৈরি হয়নি। কীভাবে তারা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তারও কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রেপ্তার কোনো সমাধান নয়। কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া যায় সে ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

কিন্তু কীভাবে উদ্যোগ নিতে হবে সে ব্যাপারে আইনজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, প্রতারিত গ্রাহকদের ফৌজদারি ও দেওয়ানি-দুই ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এই আইনি প্রক্রিয়ায় টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

আইন কর্মকর্তরা বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে যেসব কোম্পানি মানুষের কাছ থেকে নেয়া টাকায় অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে, সেসব সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে মানুষের টাকা মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিলে সবচেয়ে ভালো হবে। প্রতারক কোম্পানির সম্পত্তি ক্রোক করে তা বিক্রির জন্য আলাদা বিধান করা উচিত। বিদ্যমান আইনে কোনো মামলার আসামি দণ্ডিত হওয়ার পর সম্পত্তি ক্রোকের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

টাকা আদায়ে ‘মানি মোকদ্দমা’: একজন গ্রাহক প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালে, বিদ্যমান ফৌজদারি আইন অনুযায়ী থানা কিংবা আদালতে বিচার চেয়ে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন। মামলার পর অভিযুক্তের সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের বিধান রয়েছে। বিচার শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দণ্ডিত হলে আদালত অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। এর বাইরে প্রতারিত গ্রাহক বিদ্যমান দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে ‘মানি মোকদ্দমা’ করতে পারেন। ব্যক্তির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এটি কার্যকর আইনি পদক্ষেপ বলে জানান আইনজ্ঞরা। অবশ্য কোনো কোম্পানি কিংবা ব্যক্তি যদি পাওনাদারকে চেক দেন, আর সেই চেক যদি ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যান) হয়, সে ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টে এই মামলা করতে হয়।

আইনজীবীরা জানান, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারিত হন, তিনি ফৌজদারি আইনের পাশাপাশি দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে মানি মোকদ্দমা করতে পারেন। বাদী যদি তার দাবি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন, তাহলে আদালত বাদীর পক্ষে ডিক্রি দেন। অবশ্য মানি মোকদ্দমা নিষ্পত্তি একটা লম্বা আইনি প্রক্রিয়া। বাদী মামলা করলে বিবাদীপক্ষ সব সময় তৎপর থাকেন, কীভাবে মামলা ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে ‘মানি মোকদ্দমা’ই একমাত্র আইনি সমাধান।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এটার জন্য সময় লাগবে। এটা যে নিশ্চিতভাবে পাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। এখানে আইনি জটিল প্রক্রিয়ায় তাদের হয়তো বিচারের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু টাকা পাওয়ার ব্যাপারে সময় সাপেক্ষ। এখন আইনে তো আসলে কিছু স্পষ্ট করে বলা নেই। মামলা মোকদ্দমা করলে সময় লাগবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির মানবজমিনকে বলেন, বাস্তবতা হলো এই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অতীতে যুবক, ডেসটিনি কিংবা আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি। পিকে হালদারের কাছ থেকেও কোনো টাকা উদ্ধার করা যায়নি। এটার পেছনের প্রধানত কারণ হলো- আমাদের যে মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত করার যে ক্ষমতা, যে সামর্থ্য সেটি যথাযথ নয়। আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছি, রিমান্ড দিচ্ছি, জেলে রাখছি। কিন্তু টাকা উদ্ধার করতে পারছি না। এটি হলো আমাদের সিস্টেমের দুর্বলতা।

তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের অস্বাভাবিক অফারে যারা সাড়া দিয়েছে তারাও সঠিক কাজ করেননি। এখন টাকাগুলো কোথায় আছে বা কোথায় গেছে সেটি বের করে, মানি লন্ডারিং হয়েছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এরপর ভবিষ্যতে যেন এই ঘটনা থেকে সকলে রক্ষা পায়, সেজন্য যথাযথ আইনি কাঠামো গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে দেশে ই-কমার্স কিংবা এই সমস্ত ব্যবসা সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথাযথ আইনি কাঠামো নেই। তবে প্রযুক্তির যুগে ই-কমার্স বা এই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা এটি অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। তবে সেজন্য এই শিল্পটিতে সংস্কার করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা বলছে: সমপ্রতি ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে একটি রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হবে। ডিজিটাল প্রতারণা হলে যেন বিচার করা যায়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে কিছু সংশোধন আনতে হবে। সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। প্রতিটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা করা যাবে না। ইতিমধ্যেই এসব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইভ্যালির সম্পদ খতিয়ে দেখে, গ্রাহক বা মার্চেন্টদের মধ্যে কীভাবে ফেরত দেয়া যায়, তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের জেলে নেয়া সমাধান নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জেলে নেয়াই সমাধান নয়। গ্রাহকরা যেন তাদের টাকা ফেরত পান, আবার অভিযুক্তরাও যেন শাস্তি পান, উভয় বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার। আমরা সার্বিক বিষয়গুলো অবজারভেশন করছি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দায় এড়াতে পার না: গত বুধবার অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যুবক এবং ডেসটিনির বিষয়টি এখন আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া ইভ্যালির বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারবেন না।
বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ই-কমার্স উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর বলেন, খাতটাই এলোমেলো হয়ে গেছে। বলেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী গ্রেপ্তার না হলেও গ্রাহকরা টাকা পেতো না, গ্রেপ্তার হয়েও গ্রাহকরা টাকা পাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। টাকা পাবে কোথা থেকে, টাকা তো খরচ হয়ে গেছে কিংবা অন্যত্র চলে গেছে। গত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে টাকা ঢেলেছে ইভ্যালি। স্পন্সরশিপ, বিজ্ঞাপন, প্রডাক্ট ডিসকাউন্ট, সেলিব্রেটিদের পকেটেও টাকা গেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status