বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত ৬টি শ্যালোমেশিন জব্দের পর ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় লোকজন এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ অভিযানকে চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার মির্জাপুর ও ভূনবীর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন দিয়ে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুতের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ৬টি শ্যালোমেশিন ও বালু উত্তোলনের অন্যান্য সরঞ্জাম যন্ত্রপাতি জব্দের পর ধ্বংস করা হয়। এ সময় বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্নস্থানে স্তূপকৃত উত্তোলিত এক লাখ ৬২ হাজার ১৯৮ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশে অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার ও শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন। এ সময় জেলা পুলিশের একটি দল তাদের সহযোগিতা করে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভূনবীর ইউনিয়নের জৈতাছড়া এলাকায় হাইল হাওরের জমিতে পুকুর খননের নামে এক জনপ্রতিনিধি একাধিক শ্যালোমেশিন লাগিয়ে দিনরাত লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলে পাচার করছে। অথচ সেখানে অভিযান হয়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন জানান, কৃষি জমি ধ্বংস করে বালু তুলে যারাই পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষতি করবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, জব্দ বালুর মালিকদের পাওয়া না গেলেও অভিযানে জব্দকৃত মালামাল আলামত বিবেচনায় রেখে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভূনবীর ইউনিয়নের জৈতাছড়া এলাকায় হাইল হাওরের জমিতে পুকুর খননের নামে এক জনপ্রতিনিধি একাধিক শ্যালোমেশিন লাগিয়ে দিনরাত লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলে পাচার করছে। অথচ সেখানে অভিযান হয়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন জানান, কৃষি জমি ধ্বংস করে বালু তুলে যারাই পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষতি করবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, জব্দ বালুর মালিকদের পাওয়া না গেলেও অভিযানে জব্দকৃত মালামাল আলামত বিবেচনায় রেখে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।