বাংলারজমিন

৬ বছরের শিশুকে আইসক্রিমের প্রলোভনে ধর্ষণ হাত-পা বেঁধে হত্যা

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৭:৫৩ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আইসক্রিমের কথা বলে কক্ষে ডেকে নিয়ে ৬ বছরের শিশুর মুখে গামছা প্যাঁচিয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে। এর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। তবে এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষণের আইনে মামলা গ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নাঈমকে। তাকে সহযোগিতার অভিযোগে আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বৃহম্পতিবার রাতেই তিনি মামলা করেন। এর আগে বিকাল আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২৩শে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটি এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এ সময় নাঈম তাকে ডেকে নিয়ে পাশের দোকান থেকে আইসক্রিম ও সিগারেট আনতে বলে। তার কথামতো সে বাড়ির পাশে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির মুদি দোকান থেকে আইসক্রিম ও সিগারেট নিয়ে নাঈমের থাকার কক্ষে যায়। এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ্য করেন, সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ও তার স্ত্রী শিশুকন্যাকে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে না পেয়ে মুদি দোকানদার রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় নাঈম তাকে আইসক্রিম ও সিগারেট নিয়ে তার কক্ষে যেতে বলেছে। তার কথামতো শিশুটি আইসক্রিম ও সিগারেট নিয়ে তার কক্ষে যায়। পরে বাদী ও তার স্ত্রী প্রতিবেশী নাঈম মোল্লা ওরফে নাঈমের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান কক্ষটি তালাবদ্ধ রয়েছে। পরে তালা ভেঙে কক্ষের ভেতরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে চৌকির নিচে হাত-পা ও মুখে গামছা প্যাঁচানো কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির অতিরিক্ত রক্তরক্ষণ হচ্ছিল। অপরদিকে পুলিশ ঘটনার দিন চাঁদপুর জেলার কচুয়াথানাধীন আয়মা এলাকার আলী আশরাফের ছেলে সামাদ (৩৫), নরসিংদী জেলার পলাশথানাধীন কবিরাজপুর এলাকার নাসিরউদ্দিনের ছেলে শিমুল (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন আনোয়ার হোসেন ওরফে অনুর ছেলে সোহেলকে আটক করে। গতকাল এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের রিমান্ড আবেদন করে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়। তবে মামলার প্রধান আসামির নাম জানা গেলেও তার ঠিাকানা পাওয়া যায়নি। মামলাতেও উল্লেখ্য করা হয়নি। আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা। মামলার প্রধান আসামির ঠিকানা পাওয়া না গেলেও দ্রুত সময়ের মধ্যেই তার ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘তবে এ ঘটনায় ধর্ষণের আইনেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status