বাংলারজমিন
স্ত্রী হেলেনাই জামালের খুনি
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৭:৫০ অপরাহ্ন
জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টা পরই খুনিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। বেরিয়ে আসছে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য। দ্বিতীয় বিয়েসহ তাদের পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিনের। রয়েছে কথায় কথায় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকির অভিযোগ। স্ত্রী হেলেনাও খুবই বদমেজাজি প্রকৃতির। এসবের জেরেই স্ত্রী হেলেনার দা’র উপর্যুপরি কোপে গুরুতর আহত হন জামাল। রক্তক্ষরণ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। তড়িঘড়ি করে বাড়ির পাশের কচুরিপানা ভরা ডুবায় লাশটি রেখে দেন স্ত্রী হেলেনা বেগম। ফাঁকে নিজেকে রক্ষার জন্য জিডিসহ নানা নাটক সাজিয়েছেন হেলেনা। ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে হেলেনা স্বামীর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
হেলেনা স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন। হত্যার ২ দিন পর গত সোমবার জামালের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। নিহত জামাল উপজেলার লোপাড়া গ্রামের হাজী আলী মিয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর হত্যার কারণ ও খুনিকে চিহ্নিত করতে মাঠে নেমে পড়েন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন। লাশ দাফনের একদিন পরই হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করেন পুলিশ। স্বামীকে হত্যার দায়ে নিজ কন্যা সন্তান সুরাইয়া খাতুনের (১৬) মামলার আসামি হয়ে এখন জেলহাজতে রয়েছেন মা হেলেনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে সামাজিকভাবেই আপন মামাতো বোন হেলেনাকে বিয়ে করেন জামাল। দাম্পত্য জীবনে তাদের ২ ছেলে ও ৫ কন্যা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রথম স্ত্রী রেখেই চাচাতো ভাই আলাউদ্দিনের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী বিধবা ফরিদা বেগমকে বিয়ে করেন জামাল। এই বিয়ের কোনো নিকাহ নিবন্ধন হয়নি। শুধু মোল্লা দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন হেলেনা। বিষয়টি হেলেনা মেনে নিতে পারছিলেন না। ফরিদার গর্ভে আসে ১টি কন্যা সন্তান। কিছুদিন পরই ফরিদার সঙ্গে জামালের দূরত্ব বেড়ে যায়। গত ২০ বছর ধরে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু হেলেনার ভেতরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন জামাল। এ ঘটনায় গত রোববার হেলেনা বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি জিডি করেন। গত সোমবার খোঁজ খবর নিতে আসে হেলেনার ছোট ভাই মাহফুজ মিয়া (৩০) ও মেয়ের জামাতা। কুকুরে চিৎকার ও দুর্গন্ধে ঘর থেকে বের হয় তারা। হেলেনার বসতঘর থেকে মাত্র ২০-৩০ গজ দূরে একটি ডোবায় কচুরিপানার ফাঁকে মানুষের দুটি পা দেখতে পায়। পুলিশ এসে জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেলেনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের কাছে স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন হেলেনা। গত বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বামী হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হেলেনা।
হেলেনা স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন। হত্যার ২ দিন পর গত সোমবার জামালের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। নিহত জামাল উপজেলার লোপাড়া গ্রামের হাজী আলী মিয়ার ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর হত্যার কারণ ও খুনিকে চিহ্নিত করতে মাঠে নেমে পড়েন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন। লাশ দাফনের একদিন পরই হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করেন পুলিশ। স্বামীকে হত্যার দায়ে নিজ কন্যা সন্তান সুরাইয়া খাতুনের (১৬) মামলার আসামি হয়ে এখন জেলহাজতে রয়েছেন মা হেলেনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে সামাজিকভাবেই আপন মামাতো বোন হেলেনাকে বিয়ে করেন জামাল। দাম্পত্য জীবনে তাদের ২ ছেলে ও ৫ কন্যা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রথম স্ত্রী রেখেই চাচাতো ভাই আলাউদ্দিনের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী বিধবা ফরিদা বেগমকে বিয়ে করেন জামাল। এই বিয়ের কোনো নিকাহ নিবন্ধন হয়নি। শুধু মোল্লা দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন হেলেনা। বিষয়টি হেলেনা মেনে নিতে পারছিলেন না। ফরিদার গর্ভে আসে ১টি কন্যা সন্তান। কিছুদিন পরই ফরিদার সঙ্গে জামালের দূরত্ব বেড়ে যায়। গত ২০ বছর ধরে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু হেলেনার ভেতরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন জামাল। এ ঘটনায় গত রোববার হেলেনা বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি জিডি করেন। গত সোমবার খোঁজ খবর নিতে আসে হেলেনার ছোট ভাই মাহফুজ মিয়া (৩০) ও মেয়ের জামাতা। কুকুরে চিৎকার ও দুর্গন্ধে ঘর থেকে বের হয় তারা। হেলেনার বসতঘর থেকে মাত্র ২০-৩০ গজ দূরে একটি ডোবায় কচুরিপানার ফাঁকে মানুষের দুটি পা দেখতে পায়। পুলিশ এসে জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেলেনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের কাছে স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন হেলেনা। গত বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বামী হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হেলেনা।