শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, শ্বশুর আটক

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শ্বশুরবাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে জনসমক্ষে এই নির্যাতন করেন। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে গতকাল দুপুরে ছেলেটির নির্যাতনকারী শ্বাশুড়িকে আটক করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ। সোমবার জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শাওন আমিন নামে এক ব্যক্তি নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে কমেন্টে অনেকে নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। খুরশিদ আলম নামে একজন মন্তব্য করে বলেন, ছেলেটিকে যারা গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এলাকাবাসী জানায়, একই এলাকার করিমুলের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের সঙ্গে। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে আত্মগোপনে থাকেন। এদিকে, মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ছেলের পরিবার ভীত হয় এবং ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি জানায়। মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলে ও মেয়েকে পরিবারের কাছে দিয়ে আসে।
পরে সোমবার বিকালে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান ওই যুবক। তখনই মেয়ের বাবা-মা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকেন। ওই যুবক চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান, বারবার ক্ষমা চান। তবুও তাকে মারধর করতে থাকে মেয়ের পরিবার। শেষে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে যুবককে। গতকাল দুপুরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দৃশ্যমান প্রত্যক্ষ নির্যাতনকারী ছেলেটির শ্বাশুড়ি সেলিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে রাণীশংকৈল  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ ইকবাল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ছেলেটিকে উদ্ধার করে রাণীংশকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায়  একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।