খেলা
হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদের কার্যকারিতা নিয়ে লুকাকুর শঙ্কা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৭:৪১ অপরাহ্ন
ফুটবলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বর্ণবৈষম্য। যুগ যুগ ধরে অবজ্ঞার শিকার হয়ে আসছেন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়রা। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জঘন্য এই কাজের বিরোধিতা করা হলেও আদৌ এটি রহিত করা সম্ভব হয়েছে? প্রশ্নটা রোমেলো লুকাকুর। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের। এরপর থেকেই প্রতিবাদ স্বরূপ ফুটবলে চালু হয়েছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’, হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদের প্রতিবাদ জানানো। তাতেও কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের কতটুকু লাভ হচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কিত লুকাকু। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান চেলসির বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের।
চলতি সপ্তাহে লুকাকুর চেলসি সতীর্থ মার্কোস আলোনসো বলেন, তিনি হাঁটু গেড়ে অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ তার কাছে মনে হয়েছে এই পদক্ষেপটি কিছুটা শক্তি হারাচ্ছে। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লুকাকু জানান, তার কাছে এই পদক্ষেপ খুব কার্যকর মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারি। হ্যাঁ, আমরা হাঁটু গেড়ে অবস্থান নিচ্ছি, সবাই হাততালি দিচ্ছে। কিন্তু প্রায়ই খেলার পরেই আরেকটি বর্ণবাদের ঘটনার দেখা মিলছে।’ লুকাকু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরামর্শ করে অনলাইনে বর্ণবাদ বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দলের অধিনায়ক ও চার বা পাঁচ জন খেলোয়াড়, যারা প্রত্যেক দলের প্রধান ব্যক্তিত্ব, তাদের সঙ্গে ইনস্ট্রাগ্রামের সিইও, সরকার এবং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশনের সিইওদের একটি বৈঠক করা উচিত। আমরা কীভাবে এটির বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিতে পারি। শুধুমাত্র পুরুষদের খেলা থেকে নয়, নারীদের খেলা থেকেও।’
বর্ণবাদ নিয়ে লুকাকুর অভিযোগ যে সত্য, তার বাস্তব প্রমাণ হলো এসি মিলানের সাবেক ফুটবলার সিয়াড ভিসান। ২০ বছরের এই খেলোয়াড় ইতালির ক্লাবটির যুব একাডেমির হয়ে খেলেছেন। যিনি বর্ণবাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ঘটনা গত জুন মাসের, আত্মহত্যার আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন ভিসান। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বর্ণবৈষ্যমকে উল্লেখ করেন সেই তরুণ খেলোয়াড়। চিঠিতে ভিসান লিখেছিলেন, ‘এখন আমি যেখানেই যাই সেখানেই আমি পাথরের মতো অনুভব করি। মানুষের সন্দেহপ্রবেনতা, অন্যভাবে তাকানো এসব আমার কাঁধে ভর করে। মানুষের কাছে প্রমাণ করতে হয়, যেন তারা আমাকে চেনে না। আমি তাদের মতো না- ইতালিয়ান, সাদা না। আমার মনে হতো কালো হওয়ায় আমার লজ্জিত হওয়া উচিত।’
চলতি সপ্তাহে লুকাকুর চেলসি সতীর্থ মার্কোস আলোনসো বলেন, তিনি হাঁটু গেড়ে অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ তার কাছে মনে হয়েছে এই পদক্ষেপটি কিছুটা শক্তি হারাচ্ছে। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লুকাকু জানান, তার কাছে এই পদক্ষেপ খুব কার্যকর মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারি। হ্যাঁ, আমরা হাঁটু গেড়ে অবস্থান নিচ্ছি, সবাই হাততালি দিচ্ছে। কিন্তু প্রায়ই খেলার পরেই আরেকটি বর্ণবাদের ঘটনার দেখা মিলছে।’ লুকাকু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরামর্শ করে অনলাইনে বর্ণবাদ বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দলের অধিনায়ক ও চার বা পাঁচ জন খেলোয়াড়, যারা প্রত্যেক দলের প্রধান ব্যক্তিত্ব, তাদের সঙ্গে ইনস্ট্রাগ্রামের সিইও, সরকার এবং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশনের সিইওদের একটি বৈঠক করা উচিত। আমরা কীভাবে এটির বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিতে পারি। শুধুমাত্র পুরুষদের খেলা থেকে নয়, নারীদের খেলা থেকেও।’
বর্ণবাদ নিয়ে লুকাকুর অভিযোগ যে সত্য, তার বাস্তব প্রমাণ হলো এসি মিলানের সাবেক ফুটবলার সিয়াড ভিসান। ২০ বছরের এই খেলোয়াড় ইতালির ক্লাবটির যুব একাডেমির হয়ে খেলেছেন। যিনি বর্ণবাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ঘটনা গত জুন মাসের, আত্মহত্যার আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন ভিসান। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বর্ণবৈষ্যমকে উল্লেখ করেন সেই তরুণ খেলোয়াড়। চিঠিতে ভিসান লিখেছিলেন, ‘এখন আমি যেখানেই যাই সেখানেই আমি পাথরের মতো অনুভব করি। মানুষের সন্দেহপ্রবেনতা, অন্যভাবে তাকানো এসব আমার কাঁধে ভর করে। মানুষের কাছে প্রমাণ করতে হয়, যেন তারা আমাকে চেনে না। আমি তাদের মতো না- ইতালিয়ান, সাদা না। আমার মনে হতো কালো হওয়ায় আমার লজ্জিত হওয়া উচিত।’