বিশ্বজমিন
দক্ষিণের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী উত্তর কোরিয়া, রয়েছে শর্তও
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৬:৪২ অপরাহ্ন
‘শত্রুতাপরায়ণ নীতি’- পরিত্যাগ করলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালু করতে আগ্রহী উত্তর কোরিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। উত্তর কোরিয়ায় তিনিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী ব্যক্তি বলে ধারণা করা হয়। সমপ্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানের উত্তরে কিম ইয়ো জং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যদি তাদের নীতি পরিবর্তন করে তাহলে তারাও আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
বিবিসি’র খবরে জানানো হয়েছে, কোরীয় যুদ্ধের কারণেই ১৯৫৩ সালে দু’টি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সে সময় একটি যুদ্ধবিরতির অধীনে উভয়পক্ষ নিজেদের দখলকৃত এলাকাকে সীমানা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়নি। সে হিসেবে কাগজে কলমে দুই রাষ্ট্র এখনও যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। প্রায়ই সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের খবর পাওয়া যায়।
তবে এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন যুদ্ধ সমাপ্তির আহ্বান জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে পাশে ছিল। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার সবথেকে বড় অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। যদিও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবকে অপরিপক্ব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে শুক্রবার একটি অপ্রত্যাশিত বার্তা দিয়েছেন কিম ইয়ো জং। এতে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রস্তাব প্রশংসনীয়। তবে তিনি অবশ্য সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন যে, শান্তি আলোচনা শুরু করতে হলে অবশ্যই দক্ষিণকে শত্রুপরায়ণ নীতি বাতিল করতে হবে। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত দ্বিমুখী আচরণ, যুক্তিহীন ধারণা, বদ অভ্যাস এবং শত্রুপরায়ণ নীতি বাদ দেয়া। এর মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের অবস্থানকেই গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রচার করছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণের এমন প্রস্তাব তখনই মেনে নেয়া হবে যখন সামনা-সামনি বসে আলোচনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তখন যুদ্ধ সমাপ্তিও ঘোষিত হবে।
বিবিসি’র খবরে জানানো হয়েছে, কোরীয় যুদ্ধের কারণেই ১৯৫৩ সালে দু’টি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সে সময় একটি যুদ্ধবিরতির অধীনে উভয়পক্ষ নিজেদের দখলকৃত এলাকাকে সীমানা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়নি। সে হিসেবে কাগজে কলমে দুই রাষ্ট্র এখনও যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। প্রায়ই সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের খবর পাওয়া যায়।
তবে এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন যুদ্ধ সমাপ্তির আহ্বান জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে পাশে ছিল। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার সবথেকে বড় অর্থনৈতিক অংশীদার চীন। যদিও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবকে অপরিপক্ব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে শুক্রবার একটি অপ্রত্যাশিত বার্তা দিয়েছেন কিম ইয়ো জং। এতে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রস্তাব প্রশংসনীয়। তবে তিনি অবশ্য সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন যে, শান্তি আলোচনা শুরু করতে হলে অবশ্যই দক্ষিণকে শত্রুপরায়ণ নীতি বাতিল করতে হবে। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত দ্বিমুখী আচরণ, যুক্তিহীন ধারণা, বদ অভ্যাস এবং শত্রুপরায়ণ নীতি বাদ দেয়া। এর মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের অবস্থানকেই গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রচার করছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণের এমন প্রস্তাব তখনই মেনে নেয়া হবে যখন সামনা-সামনি বসে আলোচনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তখন যুদ্ধ সমাপ্তিও ঘোষিত হবে।