তিনি কি পরামর্শ দিয়েছেন সেটা সিক্রেটই থাক -পূজা চেরি

হালের ব্যস্ত নায়িকা পূজা চেরি। শাকিব খানের বিপরীতে 'গলুই' নামের সিনেমায় প্রথমবারের মতো নায়িকা হয়ে অভিনয় করছেন। তার চরিত্রের নাম মালা। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এস এ হক অলিক। আজ এর শুটিংয়ে অংশ নেবেন পূজা। শুটিং শুরুর আগে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন এ নায়িকা। 'গলুই'র কাজ শুরু করছেন, কেমন লাগছে? পূজা চেরি বলেন, গতকাল টাঙ্গাইলে এসেছি। আজ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন যাত্রা। আশা করছি খুব ভালো কিছু হবে। চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করছেন। অনুভূতি কেমন? এ নায়িকা বলেন, শাকিব ভাইয়া দেশের বড় তারকা। তার বিপরীতে কাজ করছি, স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগছে। এর আগেও শাকিব ভাইয়ের বিপরীতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়ছিল তখন আমি তার বিপরীতে কাজের জন্য সঠিক ছিলাম না। তাই রিস্ক নেইনি। কিন্তু 'গলুই'র গল্প শোনার পর মনে হয়েছিল আমি এটা করতে পারি। কী কী প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে মালা চরিত্রটির জন্য? পূজা বলেন, আমার ওজন ৫০ কেজি ছিল। পরিচালক বলেছিলেন ওজন বাড়াতে। ৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। এটাই প্রথম প্রস্তুতি ছিল। এছাড়া চুলের রঙ পরিবর্তন করেছি। আর স্ক্রিপ্ট আগেও পড়েছি। কিন্তু শুটিংয়ে যাওয়ার আগে বার বার পড়েছি, যেন মনের জোরটা থাকে।মালা চরিত্রটি আসলে কেমন? এ নায়িকা বলেন, মালা মেয়েটা ধনী পরিবারের মেয়ে। খুবই ইনোসেন্ট এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। শাকিব খানের সঙ্গে আপনার আলোচনা হয়েছে এ সিনেমা নিয়ে? পূজা বলেন, শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে ফোনে। তিনি আরেকটি সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত, তাই খুব বেশি কথা হয়নি। তার মধ্যেই তিনি আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তিনি কি পরামর্শ দিয়েছেন সেটা সিক্রেটই থাক। এর আগে 'হৃদিতা' সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? পূজার উত্তর- অভিজ্ঞতা খুব ভালো। কারণ 'হৃদিতার গল্পটা বেশ সুন্দর। তার চেয়ে বড় কথা এই উপন্যাসটা আনিসুল হক স্যারের। তার বড় ভক্ত আমি। তার উপন্যাসে নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে পেরেছি এটা সৌভাগ্যের। শেষ লটের শুটিংয়ে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে যেতে হয়েছে। অনেক জার্নি করতে হয়েছে। তবে যখন আউটপুটটা দেখেছি, সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। শান্তি লেগেছে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর কী অবস্থা? পূজা চেরি বলেন, আমার অনেকগুলো সিনেমাই মুক্তির জন্য প্রস্তুত। 'শান', 'জ্বীন', 'সাইকো' সহ কয়েকটি। তবে মুক্তির ব্যাপারটা অবস্থার উপর নির্ভর করছে।