প্রথম পাতা

জরুরিভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

কূটনৈতিক রিপোর্টার

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ৯:১১ অপরাহ্ন

জরুরিভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইদিনে তিনি ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক গণপণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর উদ্যোগ চেয়েছেন। গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে পৃথক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধান এই আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে নিউ ইয়র্কে উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বারবার বলেছি, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারেই ফিরে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বৈশ্বিক জরুরি প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানান। বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এক্ষেত্রে আমরা যা কিছু করছি তা সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে। ‘অতি জরুরি’ ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদার করার দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সংকট প্রশ্নে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশকে মর্মাহত করেছে। অথচ, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যা কিছু করা সম্ভব তা অবশ্যই করতে হবে। বাস্তুচ্যুত সেই জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে ফিরতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার এবং প্রত্যাবর্তনে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা। তার এ ভাষণের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভ ফর এ  সাস্টেইনেবল সল্যুশন’ শীর্ষক ওই ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হলো। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউএজিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ আলোচনায় এ সংকট তুলে ধরতে ঢাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওই সভাটির আয়োজন করা হয়। তাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকেই এ সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে ইউএনজিএ’র অধিবেশনে তিনি সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে, আমরা চীন ও ভারতসহ প্রধান শক্তিগুলোকে সংকট সমাধানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টায় আছি। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে আসিয়ানকে আরও সক্রিয় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে, আমরা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করে জাতিসংঘ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে ধরে রেখেছি। তবে, দুঃখজনকভাবে ‘দুর্ভাগা, গৃহহীন হয়ে পড়া মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চালানো আমাদের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। আজ পর্যন্ত তাদের একজনকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত চার বছর ধরে বাংলাদেশ অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে যে বাস্তুহারা এসব মানুষ নিরাপদে এবং মর্যাদা সহকারে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আমাদের আহ্বান অবহেলিত রয়ে গেছে এবং আমাদের প্রত্যাশা অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ সংকটের পঞ্চম বছর চলছে। এখনো, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মানবিক সংকট সমাধান করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কারণ বিভিন্ন সীমান্তে এর প্রভাব পড়ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে অতি দ্রুত কিছু করতে ব্যর্থ হলে আমাদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মহাবিপদে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির ঘাটতির কারণে হতাশা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে এবং তারা সহজে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের টার্গেট হতে পারে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই সংকট সমাধানে পাঁচ দফা আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পরামর্শ দেন। বলেন, প্রথমত, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের সকলের জোরালো প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা দূর করতে মিয়ানমারে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটানো এবং এই সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি সংশোধন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আসিয়ানের জোরদার প্রচেষ্টা জরুরি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে এক্ষেত্রে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের পদক্ষেপ মিয়ানমারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। চতুর্থত, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে মানবিক সহায়তা জরুরি হলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও তাদের ধারণক্ষমতার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অংশীদারদের মিয়ানমারে অবশ্যই স্পষ্ট বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া জনগোষ্ঠীর আস্থা সৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া মোটেও উচিত হবে না। নির্যাতনকারীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিশ্চিত করতে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দাঁড় করাতে চলমান আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি ঢাকার জোরালো সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মেকানিজম করতে বিশ্বের জোরালো সমর্থন চান। বলেন, ২০১৭ সালে নিপীড়ন এড়াতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক আগমনের শুরুতে আমাদের করণীয় ছিল, তাদের জীবন বাঁচানো অথবা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া। সীমান্ত বন্ধ করে দিলে তারা জাতিগত নিধনের মুখে পড়তো। শেখ হাসিনা বলেন, মানবতার দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, এই মানবিক সিদ্ধান্ত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ সংগ্রাম শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সার্বজনীন লড়াইয়ের প্রতীক। অতএব, বাংলাদেশ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে এটাই ছিল খুবই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের সূচনা থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন অনিষ্পন্ন থাকায় রোহিঙ্গারা নিরাপদে অস্থায়ীভাবে অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও জমির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তা করেছে। তিনি বলেন, একটি সীমাবদ্ধ এলাকায় এ ধরনের বিশাল জনগোষ্ঠীর দীর্ঘকাল অবস্থান আশপাশের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বিভিন্ন পাহাড় ও বনভূমি কেটে ফেলতে হচ্ছে। এমন কি মহামারি করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্যেও আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা ভুলে যাইনি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যতক্ষণ না আমরা সকলে নিরাপদ, আসলে ততক্ষণ আমরা কেউই নিরাপদ নয়। আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আমাদের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনেছি। তিনি বলেন, প্রতিবছর ৩০ হাজারের বেশি নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করায় ক্যাম্পে জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ কমাতে আমরা ভাসানচর নামের একটি দ্বীপে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। দেশের দক্ষিণে অবস্থিত এ দ্বীপের ১৩ হাজার একর এলাকাজুড়ে এ ব্যবস্থা করা হয়।
ভ্যাকসিনকে সার্বজনীন গণপণ্য ঘোষণার আহ্বান: এদিকে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া বার্তায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘সার্বজনীন গণপণ্য’ ঘোষণার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে সার্বজনীন গণপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা দরকার। হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানে বক্তব্যটি ছিল পূর্বে ধারণকৃত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সভাপতিত্বে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ওই ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কোভিড-১৯ মহামারি অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরা বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দিতে হবে। হোয়াইট হাউস আমন্ত্রিতদের জানিয়েছে, এ বছরের শেষের দিকে এবং ২০২২ সালের শুরুতে ফলোআপ ইভেন্টগুলো অংশগ্রহণকারীদের তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য দায়বদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিন ধাপে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথমত, জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে, যাতে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তৃতীয়ত, তিনি বলেন যে, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বন নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি, দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীর মাঝে ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি। তিনি আরও বলেন, ১৪ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ মিলিয়নের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status