খেলা
উইজডেনের এশিয়া সেরা একাদশে বাংলাদেশের ‘ত্রিরত্ন’
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ৯:০৮ অপরাহ্ন
‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেন প্রকাশ করেছে সময়ের সেরা এশিয়ান ওয়ানডে একাদশ। তাতে জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
উইজডেন এই একাদশ বাছাইয়ে প্রধান্য দিয়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিং। এই দলে ৩ জন করে ক্রিকেটার রয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের। ২ আফগান ক্রিকেটার জায়গা করে নিলেও নেই শ্রীলঙ্কার কেউ।
একাদশে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটার নিয়ে ছোট আকারে বিশ্লেষণ করেছে উইজডেন। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উইজডেন লিখেছে, ‘অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার সাকিব। নিজ দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তিনি যেকোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়’। ওয়ানডে অলরাউন্ডারের শীর্ষে সাকিব। বোলিংয়ের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নবম এবং ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ২৬তম স্থানে। এখনো খেলছেন এমন উইকেটরক্ষক-ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ২২৭ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে মুশফিক রয়েছেন ত্রয়োদশতম স্থানে। উইজডেন মুশফিককে নিয়ে লিখতে গিয়ে প্রসংশায় ভাসিয়েছে। তাদের চোখে মুশফিক একজন যোদ্ধা। ‘বাংলাদেশের এই সংগ্রামী ব্যাটার এশিয়া একাদশের উইকেটরক্ষক। ছয় নম্বরে ব্যাটিং করা যদিও তার সামর্থ্যের সঙ্গে বেমানান। আসলে একাদশে তারকার ছড়াছড়ির কারণে তাকে নিচের দিকে রাখা হয়েছে। সে হচ্ছে সত্যিকারের লড়াকু ক্রিকেটার। বহুবার সে তার দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে’। ওয়ানডের বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে একাদশতম স্থানে মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি ‘কাটার মাস্টার’কে একাদশে রাখতে গিয়ে উইজডেন মনে করিয়ে দিয়েছে তার আবির্ভাবের গল্প। উইজডেন লিখেছে, ‘মোস্তাফিজ তার প্রথম ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সে এশিয়া একাদশে একমাত্র বাঁহাতি পেসার নন। তবে তার বোলিং বুঝতে ব্যাটারদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়’। ওপেনার হিসেবে উইজডেন বেছে নিয়েছে রোহিত শর্মা ও ফখর জামানকে। সময়ের সেরা টপ অর্ডার ব্যাটার রোহিত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। উইজডেনের মতে, ‘রোহিত শুধু এশিয়া একাদশেরই নয় বিশ্বসেরা ওয়ানডে একাদশেরও প্রথম পছন্দের ওপেনার’। পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানকে উইজডেন দেখছে ‘বিধ্বংসী ওপেনার’ হিসেবে। ভয়ঙ্কর সেই রূপ ফখর দেখিয়েছেন গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রান তাড়ায় নেমে ১৫৫ বলে ১৯৩ রানের ইনিংসে। সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও বাবর আজম অবধারিতভাবেই জায়গা করে নিয়েছেন। ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ নবীও একাদশে রয়েছেন। অভিজ্ঞ আফগান অলরাউন্ডারের ব্যাটে-বলে ম্যাচে দারুণ প্রভাব রাখেন বলেই উইজডেনের নজর কেড়েছেন। পাকিস্তানের নতুন গতি তারকা হিসেবে আলোচিত শাহীন শাহ আফ্রিদি। ২১ বছর বয়সী এই পেসার রয়েছেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ত্রয়োদশতম স্থানে। উইজডেন এই বাঁহাতি পেসারকে ‘ম্যাচ উইনিং বোলার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
‘জসপ্রিত বুমরাহ ভারতের বোলিংয়ে তেমনই একজন ব্যাটিংয়ে যেমন ভারতের ভরসা কোহলি’- এভাবেই বুমরাহ’র সামর্থ্যকে বিশ্লেষণ উইজডেনের। এশিয়ার সেরা ওয়ানডে একাদশে একমাত্র লেগস্পিনার মুজিব উর রহমান। রশিদ খানের (১৫তম) জায়গা হয়নি র্যাঙ্কিংয়ে মুজিবের (৩য়) চেয়ে পিছিয়ে থাকায়।
উইজডেনের এশিয়া সেরা ওয়ানডে একাদশ:
ফখর জামান, রোহিত শর্মা, বাবর আজম, বিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ নবী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মুজিব উর রহমান, জসপ্রিত বুমরাহ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
উইজডেন এই একাদশ বাছাইয়ে প্রধান্য দিয়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিং। এই দলে ৩ জন করে ক্রিকেটার রয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের। ২ আফগান ক্রিকেটার জায়গা করে নিলেও নেই শ্রীলঙ্কার কেউ।
একাদশে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটার নিয়ে ছোট আকারে বিশ্লেষণ করেছে উইজডেন। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উইজডেন লিখেছে, ‘অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার সাকিব। নিজ দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তিনি যেকোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়’। ওয়ানডে অলরাউন্ডারের শীর্ষে সাকিব। বোলিংয়ের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নবম এবং ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ২৬তম স্থানে। এখনো খেলছেন এমন উইকেটরক্ষক-ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ২২৭ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে মুশফিক রয়েছেন ত্রয়োদশতম স্থানে। উইজডেন মুশফিককে নিয়ে লিখতে গিয়ে প্রসংশায় ভাসিয়েছে। তাদের চোখে মুশফিক একজন যোদ্ধা। ‘বাংলাদেশের এই সংগ্রামী ব্যাটার এশিয়া একাদশের উইকেটরক্ষক। ছয় নম্বরে ব্যাটিং করা যদিও তার সামর্থ্যের সঙ্গে বেমানান। আসলে একাদশে তারকার ছড়াছড়ির কারণে তাকে নিচের দিকে রাখা হয়েছে। সে হচ্ছে সত্যিকারের লড়াকু ক্রিকেটার। বহুবার সে তার দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে’। ওয়ানডের বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে একাদশতম স্থানে মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি ‘কাটার মাস্টার’কে একাদশে রাখতে গিয়ে উইজডেন মনে করিয়ে দিয়েছে তার আবির্ভাবের গল্প। উইজডেন লিখেছে, ‘মোস্তাফিজ তার প্রথম ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সে এশিয়া একাদশে একমাত্র বাঁহাতি পেসার নন। তবে তার বোলিং বুঝতে ব্যাটারদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়’। ওপেনার হিসেবে উইজডেন বেছে নিয়েছে রোহিত শর্মা ও ফখর জামানকে। সময়ের সেরা টপ অর্ডার ব্যাটার রোহিত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। উইজডেনের মতে, ‘রোহিত শুধু এশিয়া একাদশেরই নয় বিশ্বসেরা ওয়ানডে একাদশেরও প্রথম পছন্দের ওপেনার’। পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানকে উইজডেন দেখছে ‘বিধ্বংসী ওপেনার’ হিসেবে। ভয়ঙ্কর সেই রূপ ফখর দেখিয়েছেন গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রান তাড়ায় নেমে ১৫৫ বলে ১৯৩ রানের ইনিংসে। সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও বাবর আজম অবধারিতভাবেই জায়গা করে নিয়েছেন। ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ নবীও একাদশে রয়েছেন। অভিজ্ঞ আফগান অলরাউন্ডারের ব্যাটে-বলে ম্যাচে দারুণ প্রভাব রাখেন বলেই উইজডেনের নজর কেড়েছেন। পাকিস্তানের নতুন গতি তারকা হিসেবে আলোচিত শাহীন শাহ আফ্রিদি। ২১ বছর বয়সী এই পেসার রয়েছেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ত্রয়োদশতম স্থানে। উইজডেন এই বাঁহাতি পেসারকে ‘ম্যাচ উইনিং বোলার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
‘জসপ্রিত বুমরাহ ভারতের বোলিংয়ে তেমনই একজন ব্যাটিংয়ে যেমন ভারতের ভরসা কোহলি’- এভাবেই বুমরাহ’র সামর্থ্যকে বিশ্লেষণ উইজডেনের। এশিয়ার সেরা ওয়ানডে একাদশে একমাত্র লেগস্পিনার মুজিব উর রহমান। রশিদ খানের (১৫তম) জায়গা হয়নি র্যাঙ্কিংয়ে মুজিবের (৩য়) চেয়ে পিছিয়ে থাকায়।
উইজডেনের এশিয়া সেরা ওয়ানডে একাদশ:
ফখর জামান, রোহিত শর্মা, বাবর আজম, বিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ নবী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মুজিব উর রহমান, জসপ্রিত বুমরাহ ও মোস্তাফিজুর রহমান।