দেশ বিদেশ

পৌরসভাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার: তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের পর এবার পৌরসভাগুলোকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে সকল পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু পৌরসভায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোতেও দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু জনবল সংকট রয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে পৌরসভাগুলো তাদের সংকট কাটিয়ে সক্ষমতা অর্জন করবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় নগর এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা ভালো তবে এটি সন্তোষজনক অবস্থায় নেই। পৌরসভাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবায় পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে করে তারা নিজেরা নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, মশা নির্মূলে সরকার কাজ করছে। দুই সিটি করপোরেশন যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সকালে লার্ভিসাইড স্প্রে, বিকালে ফগিং করা অব্যাহত আছে। নগরবাসীর সচেতনতায় ডেঙ্গু মোকাবিলা সহজ হবে। ডেঙ্গু একটি সিজনাল ডিজিজ। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এটার প্রকোপ বেশি থাকে। আশা করছি এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। ৭ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ডেঙ্গু বৈশ্বিক ইস্যু। এ বছর প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করি সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার পর গত বছর আমরা সফল হয়েছি। এ বছরও আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর প্রভাব থাকলেও সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে লকডাউন এবং ঈদের ছুটি। এ সময় অনেকেই বাসাবাড়ি ছেড়ে নিজ এলাকায় যাওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় এডিস মশার প্রভাব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মে-জুন থেকে আরম্ভ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার প্রকোপ বেশি থাকে। কারণ এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।
‘ইইউ সাপোর্ট টু হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পের কাজ নিয়ে মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ শুরু হয়েছে যার সুদূর প্রসারী প্রভাব রয়েছে। ইতিমধ্যে নগর এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি মি. মারিজিও চিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত এনজিওর মাধ্যমে ৪টি সিটি করপোরেশন, ১০টি পৌরসভা এলাকায় ৫ লাখ ৩ হাজার ৬শ’ ২৭টি পরিবারকে বিনামূল্যে ভাউচার কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া, দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভার ৩ হাজার ৬শ’ ১৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং পৌরসভা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক হাজার ৮শ’ এক জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status