এক্সক্লুসিভ
মহামারিতে বন্ধ থাকার পর শিক্ষাকেন্দ্রে ফিরেছে রোহিঙ্গা শিশুরা
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ৭:২১ অপরাহ্ন
কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে থাকা ১ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ফিরেছে। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাকেন্দ্রগুলো বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে। এগুলো গত ১৮ মাস যাবৎ বন্ধ ছিল। যার ফলে শিশুরা বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রমের ঝুঁকিতে পড়েছিল। সরকার ঘোষণা করেছে যে, শিক্ষাকেন্দ্রগুলো দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারবে। বর্তমানে দেশে কোভিড শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে যেখানে গত আগস্ট মাসে এ হার ছিল ৩০ শতাংশের উপরে। সংক্রমণ কমে আসায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাকেন্দ্র খুলে দেয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। একইসঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অন্য বয়সের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকেন্দ্রে ফেরার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। বর্তমানে কক্সবাজার উদ্বাস্তু শিবিরে ৯ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৬ হাজারই শিশু।
৯ বছর বয়সী তাসলিম জানায়, মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়ালে সেটা শিক্ষকদের জন্য সহজ হবে এবং একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে শিক্ষক এলে তা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হবে। তাহলে সে বড় হয়ে চিকিৎসক কিংবা শিক্ষক হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক অনো ভ্যান ম্যানেন বলেন, রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারগুলো পড়াশুনা চালু হওয়ার জন্য অনেক আগ্রহে বসেছিলেন। রোহিঙ্গা শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হওয়া উচিত। আর এটি করতে পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের মাতৃভাষায় পড়াশুনা শেখার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের সহায়তায় সেভ দ্য চিলড্রেন রোহিঙ্গা শিশু ও স্থানীয়দের শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেখানে ১০০ শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
শিক্ষাকেন্দ্র খুলে দেয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। একইসঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অন্য বয়সের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকেন্দ্রে ফেরার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়। বর্তমানে কক্সবাজার উদ্বাস্তু শিবিরে ৯ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করে। এরমধ্যে ৪ লাখ ৫৬ হাজারই শিশু।
৯ বছর বয়সী তাসলিম জানায়, মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়ালে সেটা শিক্ষকদের জন্য সহজ হবে এবং একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে শিক্ষক এলে তা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হবে। তাহলে সে বড় হয়ে চিকিৎসক কিংবা শিক্ষক হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক অনো ভ্যান ম্যানেন বলেন, রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারগুলো পড়াশুনা চালু হওয়ার জন্য অনেক আগ্রহে বসেছিলেন। রোহিঙ্গা শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হওয়া উচিত। আর এটি করতে পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের মাতৃভাষায় পড়াশুনা শেখার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের সহায়তায় সেভ দ্য চিলড্রেন রোহিঙ্গা শিশু ও স্থানীয়দের শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেখানে ১০০ শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে সংস্থাটি।