বিশ্বজমিন
অকাস চুক্তি: ঝামেলা মেটাতে চায় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৫:৪০ অপরাহ্ন
অকাস প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তা কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গত সপ্তাহে এই চুক্তি ঘোষিত হয়। এরপরই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ফ্রান্স। মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পেছন থেকে ছুড়ি মারার। অকাসের কারণে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হারায় ফ্রান্স। দেশটি অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাবমেরিন বিক্রি করতে যাচ্ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়াকে বিনামূল্যে দেয়ায় এই চুক্তি থেকে সরে আসে দেশটি। আর এ নিয়েই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটি জানিয়েছে, জনসমক্ষে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এটি তারা জানতে পেরেছে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
এরপরই বুধবার ম্যাক্রনের সঙ্গে ফোনে আধা ঘন্টারও বেশি আলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে সিদ্ধান্ত হয় তারা আগামি মাসেই ইউরোপে সামনাসামনি আলোচনায় বসবেন। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মিত্রদের মধ্যে খোলাখুলি আলাপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারতো।
ধারণা করা হচ্ছে, মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে মোকাবেলায়ই অকাস চুক্তি করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা একে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই তিন দেশের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু এ নিয়ে ফরাসিদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল একদম স্পষ্ট। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে দ্রিয়ান একে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত বলেছেন। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ওয়াশিংটনে আবারও কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আবারও কবে ফিরবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলোর যুক্ত হওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন।
যদিও বিবিসির ওয়াশিংটন প্রতিনিধি নমিয়া ইকবাল মনে করেন, বাইডেন মূলত অকাস নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে অকাস চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুঃখিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপরই বুধবার ম্যাক্রনের সঙ্গে ফোনে আধা ঘন্টারও বেশি আলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এতে সিদ্ধান্ত হয় তারা আগামি মাসেই ইউরোপে সামনাসামনি আলোচনায় বসবেন। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মিত্রদের মধ্যে খোলাখুলি আলাপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারতো।
ধারণা করা হচ্ছে, মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে মোকাবেলায়ই অকাস চুক্তি করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা একে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই তিন দেশের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু এ নিয়ে ফরাসিদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল একদম স্পষ্ট। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে দ্রিয়ান একে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত বলেছেন। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ওয়াশিংটনে আবারও কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আবারও কবে ফিরবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলোর যুক্ত হওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন।
যদিও বিবিসির ওয়াশিংটন প্রতিনিধি নমিয়া ইকবাল মনে করেন, বাইডেন মূলত অকাস নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে অকাস চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুঃখিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।