দেশ বিদেশ
ডাকাতির স্বর্ণ গলিয়ে পাত বানিয়ে বিক্রি করতো তারা
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:০২ অপরাহ্ন
সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সদস্যরা লুট করা স্বর্ণালংকার গলিয়ে ‘পাত’ বানিয়ে বেচাকেনা করতো বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সম্প্রতি আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলার তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর। তিনি বলেন, লুট করা স্বর্ণালংকার রাজধানীর তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে। চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার গলিয়ে ‘পাত’ বানিয়ে তাঁতীবাজারে বিক্রি করতো। মুক্তা ধর বলেন, গত ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজারে ১৯টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র ডাকাত স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ মোট ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনার পর ধারাবাহিক অভিযানে নামে সিআইডি। অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর শাহানা আক্তার (২৪) নামে এক ডাকাতের স্ত্রীকে স্বর্ণ বিক্রির নগদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা ও আনুমানিক ৩ থেকে ৪ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আল মিরাজ মিন্টু (৩৮) ও কামাল খান (৩৯), আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), দেলোয়ার হোসেন খলিফা (৩৬), আব্দুর রহিম (৫৫), মো. সাগর (৪০) এবং ডাকাতির জিনিস কেনার দায়ে সবুজ রায় (৩২) ও রহিম (৩১) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে শাহানা, আনোয়ার, দেলোয়ার, সবুজ রায়, আব্দুর রহিম, আল মিরাজ ও কামাল খাঁ আশুলিয়ায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজার এলাকার ডাকাত সদস্য রহিমের বাসা থেকে আশুলিয়ায় লুট হওয়া ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা। মুক্তা ধর বলেন, এছাড়া গত ৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আশুলিয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সবুজ রায় ও রহিমসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন রাপা প্লাজায় ডাকাতির কথাও স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়াবাজার এলাকার সবুজের বাসা থেকে রাপা প্লাজায় লুট হওয়া ১২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলার তদন্তে তাঁতীবাজারের চক্র চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আল মিরাজ মিন্টু (৩৮) ও কামাল খান (৩৯), আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), দেলোয়ার হোসেন খলিফা (৩৬), আব্দুর রহিম (৫৫), মো. সাগর (৪০) এবং ডাকাতির জিনিস কেনার দায়ে সবুজ রায় (৩২) ও রহিম (৩১) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে শাহানা, আনোয়ার, দেলোয়ার, সবুজ রায়, আব্দুর রহিম, আল মিরাজ ও কামাল খাঁ আশুলিয়ায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজার এলাকার ডাকাত সদস্য রহিমের বাসা থেকে আশুলিয়ায় লুট হওয়া ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা। মুক্তা ধর বলেন, এছাড়া গত ৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আশুলিয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সবুজ রায় ও রহিমসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন রাপা প্লাজায় ডাকাতির কথাও স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়াবাজার এলাকার সবুজের বাসা থেকে রাপা প্লাজায় লুট হওয়া ১২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলার তদন্তে তাঁতীবাজারের চক্র চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।